Sharing is caring!
লিয়াকত হোসেন,সিলেট থেকে ::
সিলেট নগরীসহ জেলা-উপজেলার প্রায় সব আঞ্চলিক রুটে ভাড়া নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন যাত্রীরা। ভাড়া নৈরাজ্যের ফলে বেড়েছে যাত্রী হয়রাণি। বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী যানবাহনে ভাড়া নিয়ে অষন্তোষের কারণে ঘটছে হাতাহাতি, বাকবিতন্ডা, অশালীন ব্যবহার।
ভাড়া তালিকা না থাকায় ইচ্ছেমত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চালকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনো, লক্করঝক্কর গাড়ি ব্যবহার, অদক্ষ চালক, লাইসেন্সবিহীন চালক, সহকারী দিয়ে গাড়ি চালনোর কারণে যাত্রীরা যানবাহনে উঠলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এদিকে ট্রাফিক আইন না মানা, হাইড্রোলিক হর্ণের যথেচ্ছা ব্যবহার, চাঁদাবাজি, আম্বরখানায় আবুল ও জৈন্তায় নুরুল হকের টোকেন বাণিজ্য যেন পরিবহন সেক্টরের পরিচিত ও সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেটে ভাড়ায় চালিত যাত্রী পরিবহনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাস, লোগুনা, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা। এসব পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়া, এক রুটের সাথে অন্য রুটের ভাড়ার গরমিল, ভাড়ার তালিকা না থাকা, শৃঙ্খলা না মানা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মনগড়া ভাড়া নেওয়া, পূর্বের ভাড়ার ৬০% ভাড়া বেশি নেওয়ার পরও বেশি যাত্রী নেওয়া, যাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে এসব পরিবহনের চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে।
সিলেটের বেশ কয়েকটি সড়কে সরেজমিনে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে। এর কারণ সিএনজি অটোরিকশাতে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয় এবং মানা হচ্ছে না।