২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঝিনাইদহে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০২০
ঝিনাইদহে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

 

হাবিবুর রহমান রুবেল,হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধিঃ

 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু শহরের এক ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

রোববার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ক্লিনিকসহ যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্রোপচারের পর ওই প্রসূতির মৃত্য হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে করোনায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

 

এ বিষয়ে রোববার (১৬ আগস্ট) সাপ্তাহিক অভিযোগে ‘অস্ত্রোপচারে মৃত্যুর পর করোনা বলে প্রচার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 

সংবাদটি ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগমের নজরে এলে রোববার সন্ধ্যায় তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গঠিত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

 

এদিকে, মানহীন ক্লিনিকে অহরহ প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে করোনা উপসর্গে মৃত্যু বলে এখনও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

 

মৃত ওই প্রসূতির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোজিনা খাতুন শরীরে জ্বর নিয়ে জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন। জটিলতা থাকায় ওই ক্লিনিকের ডা. শামিমা অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। এরপর তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখান থেকেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি গত শনিবার সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তি হন।

 

ও্ইদিন সকাল ৯টার দিকে সেখানে তার অস্ত্রোপচার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জামিনুর রশিদ ও ডা. আহসান হাবিব। পরে তার মৃত্যু হয়।

 

এ বিষয়ে ডা. জামিনুর রশিদ জানান, ওই প্রসূতির করোনা উপসর্গ ছিলো। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা আপাতত অভিযুক্ত ওই ক্লিনিকসহ যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে ক্লিনিকগুলো যদি প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তাদের লাইসেন্স নবায়ন না করে তাহলে স্থায়ীভাবে ও্ইসব অবৈধ ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অমি এখনও তদন্ত কমিটির চিঠি হাতে পাইনি। তবে শুনেছি কমিটি করা হয়েছে। চিঠি হাতে পেলে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30