Sharing is caring!
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক মরণ কূপ: দুই দিনে ঝরলো ৭ প্রাণ
ফকির হাসান :: বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঝরলো সাতটি তাজা প্রাণ। ওসমানীনগরে মামুন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের তিন শিশুকন্যাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন ও আগের দিন বুধবার এনা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. মুজিব নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ছয় জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া (২৮), তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রামের কমরু মিয়ার মেয়ে আরিফা বেগম (১২), খাদিজা বেগম (২), খাদিজার খালা হামিদা বেগম (৩৫) ও কমরু মিয়ার ভাতিজি ফজলে মিয়ার মেয়ে কারিমা বেগম (৩)।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও সাতজন।
আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুসহ আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মামুন পরিবহনের বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (১২ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজিরবাজার এলাকায় এনা পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেল আরোহী মো. মুজিব (১৮) কে ধাক্কা দেয়। ঘটনার পর পর গুরুতর আহত অবস্থায় মুজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুজিব মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার গোলসা গ্রামের সদই মিয়ার ছেলে। একই ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।