২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী সংষ্কারে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৪, ২০২০
নির্বাচনী সংষ্কারে তিন দফা প্রস্তাব  দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস

Sharing is caring!

 

 

মোঃ আদম আলী :: নির্বাচনী সংষ্কারে তিন দফা প্রস্তাব দিয়ে মানববন্ধন করেছে দেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেস।

 

জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা, নির্বাচনের দিন ক্যাম্প ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা এবং নির্ধারিত স্থান ছাড়া পোস্টার টানানো ও সভা বন্ধের দাবীতে নির্বাচন কমিশনের সামনে আজ ১৩ আগস্ট বৃহঃবার সকাল ১০টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সকল প্রকার নির্বাচনে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের আহবান জানান।

 

বক্তৃতা দানকালে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং তাদের মূল কাজ নির্বাহী বিভাগের সহায়তায় সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনা করা। কিন্তু জেলা প্রশাসকদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে তারা আত্মঘাতি কাজ করেন যাতে তাদের স্বাধীন স্বত্তা ক্ষুন্ন হয়। জেলা প্রশাসকরা নির্বাচন পরিচালনাকারী হতে পারেন না।

 

কারণ সাংবিধানিক বাধা আছে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে”। জেলা প্রশাসকগণ প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী বিভাগে কর্মরত আছেন। তাই তারা নিজেরা সরাসরি নির্বাচন পরিচালক হতে পারবেন না।

 

বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বিনন্ধিত ও অনিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনী প্রচারে জনদূর্ভোগ ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করতে হবে।

 

অতিরিক্ত পোস্টার ব্যবহারে একদিকে যেমন কাগজের অপচয় হয়, অন্যদিকে তেমনি পরিবেশ নষ্ট হয়। কোন কোন প্রার্থী রাতারাতি পোস্টার দিয়ে সব জায়গা দখল করে ফেলে, যার ফলে সব প্রার্থীরা পোস্টার মারার সমান সুযোগ পান না।

 

যত্রতত্র জনসভা ও মাইকের ব্যবহার অতিমাত্রায় শব্দ দূষণ ঘটায় যা শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণীর মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর।

 

স্বাস্থ্য বিধির আওতায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আইন উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম ফয়জুল্লাহ পাঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আমান উল্লাহ সিকদার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদ হোসেন ভূইয়া, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ বেকার সমাজের মহাসচিব আবু হেনা মোস্তফা সাদেক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক এম. তাহের উদ্দিন,দলের ন্যাশনাল সিনেটের সদস্য এ্যাডঃ দেবদাস সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মোঃ আল আমিন, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ রেদোয়ান হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান প্রমুখ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

নির্বাচন সংষ্কার আন্দোলনে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিকদেরকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।