১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

অনেক নাটকের পর অবশেষে স্বেচ্ছায় অপহরনের নাটক সাজানো(আত্নগোপন) ভিকটিম উদ্বার।

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৮, ২০১৯
অনেক নাটকের পর অবশেষে স্বেচ্ছায় অপহরনের নাটক সাজানো(আত্নগোপন) ভিকটিম উদ্বার।

Sharing is caring!

 

রাশিদুল হাসান রিয়াদ,বরগুনা জেলা
তালতলি অসির বয়ানের ভিত্তিতে
গতকাল সকাল ৯ ঘটিকার সময় থানায় একজন মেম্বার খবর দেন যে, মোঃ জহিরুল ইসলাম পিং- মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার সাং- পশ্চিম ঝাড়াখালী থানা- তালতলী নামে একজন রাতে পাশের খালে তার ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। পরবর্তীতে সকাল বেলা সে তার নিজস্ব ফোন দিয়ে জানায় যে তাকে রাতে মাছ ধরার সময় ৫ জন লোক মেরে রক্তাক্ত করে প্রথমে স্পিডবোট ও পরে মাইক্রোবাসে করে অপহরন করে একটা ঘরে নিয়ে আটক করে রেখেছে। ঘটনার বিস্তারিত শুনে বিষয়টি সাজানো বলে মনে হয়।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক আমি ইন্সঃ তদন্ত ও ২ জন সাব ইন্সপেক্টর কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তাহারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারে য, উক্ত ব্যাক্তি যে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গেছে সে নৌকায় একজনের বেশি লোক উঠলে সেটি ডুবে যাবে, সে যেখানে মাছ ধরতে গিয়েছিলো তার পাশে আরো তিন জন লোক মাছ ধরতে ছিলো কিন্তু তারা এই বিষয়ে কিছু জানে না।রাত ৪ টার সময় একজন লোক উক্ত জহিরুল কে মোবাইলে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলতে দেখেছে। সে বলতে শুনেছে তুই অপেক্ষা কর আমি আসছি। সকাল ৭ টার সময় একজন লোক তাহাকে কচুপাত্রা বাজার দিয়ে হেটে যেতে দেখেছে। তাছাড়া যে নদীতে সে মাছ ধরতে গেছে সেখানে স্পিডবোট যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। তখন উক্ত ব্যাক্তির মোবাইলের কল লিস্ট বের করে আমি দেখতে পাই যে সে কলাপাড়া থানাধীন পশ্চিম ধুলাশার গ্রামে অবস্থান করিতেছে। তখন আমার একজন অফিসার তার সাথে ফোনে কথা বলে। সে আমার অফিসার’কে ও একই কথা বলে। কিন্তু সে তার মোবাইল সব সময় খোলা রেখেছে এবং পরিবার সহ অন্য লোকজনের সাথে অনবরত কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে সে নিজেই ২ টা বিকাশ নাম্বার দিয়ে বলে যে, এই বিকাশ নাম্বারে ২ লাখ দিলে তাকে ছেড়ে দিবে। পরবর্তীতে আমরা ঐ বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে, উক্ত দোকাটা কলাপাড়া থানাধীন বাবলতলা বাজারে অবস্থিত। দোকানের নাম বিস্বাশ টেলিকম। তখন আমি ঐ দোকানদারকে বলি যে, ওকে আটক করে রাখেন। ও নিজে আত্নগোপন করে অপহরন নাটক সাজিয়েছে। তখন দোকানদার ওকে স্থানীয় লোকজন ডেকে দোকানে বসায়ে রাখে। আমি তৎক্ষনাৎ বিষয়টি কলাপাড়া থানার ওসি সাহেবকে জানিয়ে ওখানে তার একটা পার্টি পাঠাতে বলি এবং আমার ইন্সঃতদন্ত সহ একটা পার্টি বাবলাতলা বাজারের উদ্দশ্য পাঠিয়ে দেই। রাত ৪ টার সময় তাহারা উক্ত জহিরুল কে নিয়ে তালতলী থানায় আসে। থানায় এনে বিস্তারিত জ্বিঘাসাবাদ করা কালে সে ঘটনার বিস্তারিত নিজ মুখে স্বীকার করে। সে তাহার পিতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য উক্ত নাটক সাজিয়ে ছিলো বলে জানায়। তার মাছ ধরা নৌকায় রক্ত কিভাবে এলো জ্বিঘাসা করলে বলে যে, একটা কবুতরের বাচ্ছা বেলেড দিয়ে জবাই করে নৌকার উপর রক্ত ফেলছে।