Sharing is caring!
তাজুল ইসলাম :: সিলেট নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট বাইপাস সড়ক। বারখলা ও মোমিনখলা আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী স্থান, রেল ক্রসিং ওভার ব্রীজ সংলগ্ন মহা সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে সিটি কর্পোরেশন।
এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। নগরীর বাহিরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান লালমাটিয়ায় না ফেলে দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশনের ট্রাকে ও ভ্যানে করে নগরীর ভেতর ফেলছে আবর্জনা। সে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের স্তুপে প্রায় সময় আগুন লাগিয়ে দেয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী, বারখলা ও মোমিনখলা এলাকার মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এরই মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ঢাকা-সিলেট মহা সড়ক দিয়ে রাতদিন শতশত যানবাহন ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করেন। আর পথচারীরা নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সিলেটের প্রবেশমুখ হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে বলার পরও ময়লা ফেলা অব্যাহত থাকায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা বিষয়টি পৌরকর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কের এক পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তুূপ। মরা পশু, মোরগের নাড়িভুঁড়ি পচে গলে বিশ্রী দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশ দিয়ে নাক ঢেকে চলছেন পথচারীরা। এ সময় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। বিরক্তিকর দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে। আমরা দ্রুত এই অবস্থার সমাধান। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক রফিক মিয়া বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। কিন্তু সড়কের এই জায়গায় এলে ময়লা আবর্জনার থেকে উৎকট গন্ধ ছড়ায়। নাক চেপে গাড়ি চালাতে হয়। যাত্রীরাও নাক-মুখ চেপে দ্রুত গাড়ি চালাতে তাড়া দেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।