৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

গৃহ বধুকে পিটিয়ে হত্যা

admin
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০১৯
গৃহ বধুকে পিটিয়ে হত্যা

Sharing is caring!

 

আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ

হাটহাজারী পৌরসভা এলাকায় জান্নাতুন নাঈমা নিশো (২০) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) হাটহাজারী পৌরসভার পৃর্ব ফটিকা মেহেদী পাড়ার দুলামিয়া সদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের দাবী নিশো’কে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাদের পরিবার।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত শ্বশুর মো.ফারুক আহমদ ও শাশুড়ি স্বপ্না বেগমসহ ৪ জন’কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, বেলা ১২টার দিকে নিহতের বাড়ির লোকজনকে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায় সে স্ট্রোক করেছে। প্রথমে স্থানীয় একজন চিকিৎসক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। তারা হাটহাজারীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মডেল থানারর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর (ওসি) ও অনেক অফিসারসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ এবং আহত শ্বশুর’কে পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
নিহত জান্নাতুন নাঈম নিশোর মামা আবু হানিফ ও চাচা মোঃ আমিন অভিযোগ করে সিপ্লাস’কে বলেন, গত ২০১৮ইং ২৬ মার্চ হাটহাজারী পৌর এলাকার মেহেদী পাড়ার পৃর্ব ফটিকা দুলামিয়া সদাগরের বাড়ির ফারুক আহমেদের ছেলে প্রবাসী মো. ফোরকান মেহেদীর (৩০) সঙ্গে রাউজান উপজেলার ৩নং চিকদাইর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আমিনুর রহমানের বাড়ির প্রবাসী সোলামানের প্রথম মেয়ে জান্নাতুন নাইমা নিশো (২০)’র পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই নিশোর শ্বশুর-শাশুড়ি বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বিচারও হয়েছে। নির্যাতনের কারণে একবার মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে লিখিত কাগজ দিয়ে তাকে ফিরিয়ে নিয়েছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। গত রমজান মাসেও শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল। তাই আমরা মনে করি নিশোকে আজকেও তারা মারধর করে হত্যা করেছে। তাদের সংসারে ফয়জুল্লাহ নামে ৬ মাস বয়সি একটি পুত্র সন্তানও আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম সিপ্লাসকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পর জানা যাবে হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। এখনো পর্যন্ত লিখিত আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। ঘটনার ব্যাপারে শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং শশুরকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।