Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্কঃ ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ সংলগ্ন গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা আতিক হাসানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়,গত এক সপ্তাহ ধরে ছাত্রলীগের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সহ চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিলো, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে নবীন-বরণ অনুষ্ঠান চলাকালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাজাম্মুল হক রিপন গ্রুপ ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে,সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দুপুরের দিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাজামুল হক রিপন কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে বিক্ষোদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে কলেজে প্রবেশে ডুকতে দেয়া হয় নায়,বাহির থেকে তাহার উপড় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চড়াও হন,একপর্যায়ে তাকে কলেজ এলাকা ত্যাগ করার জন্য নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন,এরই জের ধরে উভয় গ্রুপ গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় আধ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সড়কের তিন দিকে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ী আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহত তাজাম্মুল হক রিপনসহ অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কালেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত ধরে তিনি তাজাম্মুল হক রিপন কলেজে অনুপস্থিত.সাধারন এবং তৃণমুলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সুখ দুঃখে তিনি কখন ও পাশে আসেন না তার পর তিনি আবার উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক,বর্তমানে তাহার কোন ছাত্রত্ব নেই। তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করে কলেজে এসে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করেছেন।ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিনি এখন আর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নন,তার পরে ও কেনো তিনি এসে এই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করেন সেটা আমার বোধগম্য নহে,উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাজাম্মুল হক রিপন এ ঘটনার জন্য বহিরাগতদের দায়ী করেছেন।
ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মূলত ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে উভয় গ্রুপের বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।।