Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্কঃ এছাড়া অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় ঘষামাজা করে স্বাক্ষর করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ও ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বরাবর ভিবিন্ন সময়ে পৃথক ১৩টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ডাক্তারদের উপস্থিত বৃদ্ধি করতে মনিটরিং সেল গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও রহস্যজনক কারণে ডা. আবু সালেহীন নিয়মিত বিরতিতে ডিউটি ফাঁকি দিচ্ছেন।
জানা যায়, কৈতক শয্যার হাসপাতালে ৭ জন ডাক্তারের স্থলে তিনজন ডাক্তারের পোস্টিং রয়েছে। উপজেলার জনবহুল এলাকায় এ হাসপাতালটির অবস্থান থাকায় এখানে রোগীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও যাতায়াতের সুবিধা থাকায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার রোগীরাও আসছেন এ হাসপাতালে।
বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে তিনজন ডাক্তারকে এমনিতেই হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে একজনের অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডা. আবু সালেহীন খান জানুয়ারি মাসে দুই দিন, ফেব্রুয়ারি মাসে টানা ৭ দিন, মার্চ মাসে ৭ দিনসহ মে মাস পর্যন্ত ২৩ দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বরাবর এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে তিনি নৈমিত্তিক ছুটি অনুমোদন করেন।
এছাড়াও তিনি জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে আরো ২৭ দিন বিনা অনুমতিতেই হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। অথচ হাসপাতালের পাশেই তার সরকারি কোয়ার্টারে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ডা. আবু সালেহীন খান জানান, কয়েকদিন তিনি অসুস্থতা এবং পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেননি। পরবর্তীতে ছুটি মঞ্জুর করিয়েছেন। কিন্তু ওই ছুটি ভোগ করেও বিনা অনুমতিতে আরো ২৭ দিন অনুপস্থিতির ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ শর্মা জানান, এ ব্যাপারে পৃথক কয়েকটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে