২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

তিন নেত্রীর আসকারায় বেপরোয়া পাপিয়া

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
তিন নেত্রীর আসকারায় বেপরোয়া পাপিয়া
সংগৃহীত -ছবি 

 

মনির সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি :-

যুব মহিলা লীগের তিন নেত্রীর প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়া। ১৫ দিনের রিমান্ডের শুরুতে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এতথ্য দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত তিনজন হলেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাবিনা আকতার তুহিন।

 

তার ফোনের কল লিস্টে পাওয়া গেছে এমপি-মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর নাম।

 

একদিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়ার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন বলে জানান বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক ও পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কায়কোবাদ কাজী।

 

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। মূলত যুব মহিলা লীগের শীর্ষস্থানীয় ২ নেত্রী ও ঢাকার একজন সাবেক নারী সংসদ সদস্যের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করতেন।

 

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কিছু শীর্ষ নেতার সাথেও তার সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্ক সাংগঠনিক নাকি একান্তই ব্যক্তিগত পর্যায়ের, সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

 

আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার সঙ্গে পাপিয়ার সম্পর্ক ছিল তা প্রকাশ করেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

তিনি বলেন, পাপিয়া অত্যন্ত চতুর। তার কাছ থেকে কথা বের করা খুবই জটিল। অনেক কিছুই এড়িয়ে যেতে চায়। কিছু কিছু কথার আবার মিল পাওয়া যায় না।

 

র‍্যাব বলছে, এসব যাচাই-বাছাই করে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতা করা হবে। সেই সঙ্গে, পাপিয়াকে অপরাধ জগৎ গড়তে কারা সহায়তা করেছেন সেটিও খোঁজা হচ্ছে।

 

র‌্যাব আরও জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) আটক করার সময় পাপিয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে ক্ষমতার দাপট দেখানোর চেষ্টা করেন।

 

চাকরি দেয়ার কথা বলে কিংবা বিদেশে পাঠানোর নামে অনেকের কাছ থেকে তিনি বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

 

পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন।

 

ধরা পড়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কাজ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ ৪ জনকে মঙ্গলবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031