৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ছাতকে সরকারী টাকায় ব্যক্তিগত রাস্তা পাকা করায়, বিপাকে ইউপি সদস্য

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ২৭, ২০১৯
ছাতকে সরকারী টাকায় ব্যক্তিগত রাস্তা পাকা করায়, বিপাকে  ইউপি সদস্য

 

জামরুল ইসলাম রেজা, (ছাতক) প্রতিনিধিঃ
ছাতকে সরকারী টাকায় নিজের বাড়ির রাস্তা পাকাকরন করে বিপাকে পড়েছেন এক ইউপি সদস্য। গ্রামের স্কুলের রাস্তাসহ গ্রামবাসী চলাচলের একাধিক রাস্তা পাকাকরন কাজ না করে ইউপি সদস্য তার নিজের বাড়ির রাস্তা পাকা করে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। একই সাথে ওই পাকা রাস্তার দু’পাশে প্রতিহিংসামুলক ও অপ্রয়োজনীয় প্রায় দেড়ফুট উচ্চতায় দেয়াল তৈরী করেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন এ ইউপি সদস্য। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তুলেছেন গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আইনাকান্দি গ্রামে। জানা যায়, সিংচাপইড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে গ্রামীন রাস্তা পাকাকরনে সম্প্রতি ২ লাখ ৩০হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় সরকারীভাবে। ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া সরকারী এ বরাদ্দ দিয়ে নিজ বাড়ির রাস্তা পাকা করেন। এ রাস্তা দিয়ে আশ-পাশের বাসিন্দারা যাতে চলাচল করতে না পারে এ জন্য রাস্তার দু’পাশে প্রায় দেড়ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করেন পাকা দেয়াল। বিষয়টি গ্রামবাসীর কাছে দৃষ্টিকটু মনে হলে ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়ার বিরদ্ধে একাট্টা হয় গ্রামবাসী। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়তে হয় এ ইউপি সদস্যকে। গ্রামের সাবেক মেম্বার আফজালুর রহমান, সাবেক মেম্বার চান মিয়াসহ গ্রামের চমক আলী, সুয়েবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান জানান, সরকারী কোন বরাদ্দই জনস্বার্থে ব্যবহার না করে ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া নিজের স্বার্থে ব্যয় করে থাকেন। ফলে গ্রামের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার এক স্বজন গ্রামের মোস্তফা আলীর পুত্র ইলিয়াস আলীর বাড়িতে বসানো হয়েছে সরকারী টিউবওয়েল। সরকারী এ টিউবওয়েল নিজের বাথরুমে বসিয়ে এককভাবে ব্যবহার করছে ওই ব্যক্তি। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরবর্তিতে একই ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে সরকারী একটি সৌর প্যানেল। গ্রামবাসীর অভিযোগ ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া মোটা অংকের টাকা নিয়ে একই ব্যক্তিকে সরকারী টিউবওয়েল ও সৌর প্যানেল দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাতার কার্ড থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারা ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি গ্রামের ভাতাভোগি রইছ আলী, রাশেদ আলীসহ তিন ব্যক্তি মারা গেলে তাদের নামীয় কার্ড দিয়ে ভাতা উত্তোলন করে এ মেম্বার কৌশলে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যে রাস্তায় সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তিনি সেই রাস্তাই পাকাকরন করেছেন। পরবর্তী বরাদ্দ পেয়ে স্কুল ও গ্রামের অন্যান্য রাস্তা পাকাকরন করবেন তিনি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের আশ্বস্থও করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031