Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধি : ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১১ জন দালাল-প্রতারক’কে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেছে র্যাব-৭। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের জেল-জরিমানা করেন।
বুধবার (২৬জুন) দুপুরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের রোগী ও রোগীদের স্বজনদের সাথে প্রতিনিয়ত হয়রানী ও প্রতারণা করে আসা একটি চক্রের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জুনায়েদ জাহেদী’র নের্তৃত্বে এই ঝটিকা অভিযানে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীর দালাল চক্রের ১১ জন প্রতারক’কে আটক করা হয়।
আটককৃতদের ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জনের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-, ৪ জনের ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। হয়রানি বন্ধে জেলার সকল হাসপাতালে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিচারক।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.নুরুজ্জামান চৌধুরী সত্যত্যা নিশ্চিত করেন।
৭ জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। তারা হলো: ফেনীর পরশুরামের নোয়াপুর গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র ফিরোজ (৫০), ফেনীর বারাহীপুর গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র আফসার (৪০), মজলিশপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহানের পুত্র শাখাওয়াত হোসেন (১৬), ফুলগাজী উপজেলার বশিকপুর গ্রামের মৃত জাফর আহম্মদের পুত্র নয়ন (৩৫), একই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত নুর আহম্মদের পুত্র মোঃ শরীফ (৫০), শ্রী চন্দ্রপুর গ্রামের উত্তম মজুমদারের পুত্র টুটুল মজুমদার (২৭), কমিল্লার লাকসাম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ মিলনের পুত্র সুজন (২০)।
৪ জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তারা হলেন: ফেনীর দাগনভুঞাঁ উপজেলার গজারিয়া বাজার এলাকার শফিউল্লাহর পুত্র তৌফিকুল ইমলাম (২৮), চট্টগ্রামের হাট হাজারী রুহিল্লাপুর এলাকার আবু তাহেরর পুত্র আনোয়ার ফারভেজ (৩০), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবদুস সোবহানের পুত্র ফারুক আহমেদ (৪০), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র আবু সালমান।
এরা ফেনী শজরের বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগ্নস্টিক সেন্টার, ঔষধ দোকান ও কোম্পানী কর্তৃক দালাল হিসেবে নিযুক্ত। তারা রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়।