Sharing is caring!
মহিবুল ইসলাম (রাজু), বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রেমিক কতৃক ধর্ষণে অন্তঃসত্বা প্রেমিকা। বিয়ের ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীর বাড়ীতে গর্ভপাত থেকে ৭/৮ মাসের মৃত কন্যা সন্তান প্রসব। এমন জটিল সমিকরণের ঘটনা নিয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) থানায় একটি চাঞ্চল্যকর মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিককে ও গর্ভপাত ঘটানোর দায়ে স্বামীকে আটক করেছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। আটকৃত অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম সোহাগ (১৮)। পিতার নাম খয়বার আলী। বাড়ী উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ শিলের খাল নামক গ্রামে।
অন্যদিকে আটক ভিকটিমের স্বামীর নাম সাদ্দাম হোসেন (২২)। সে একই উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাদেরপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
বাদীর দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষক সোহাগের সাথে গত ৫ বছর ধরে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারী সোহাগ তাকে নির্মাণাধীন বাড়ীর কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাকে অনুরুপ কার্যসিদ্ধি করে।
এতে ভিকটিমের পেটে বাচ্চা চলে আসার বিষয়টি সে অনুমান করতে পারে নাই বলেও উল্লেখ করেছে। এর এক পর্যায়ে গত দেড়মাস আগে ভিকটিমের পিতামাতা সাদ্দাম হোসেনের সাথে তার বিয়ে দেয়।
গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে স্বামী তাকে ৪ টি ট্যাবলেট খাওয়ালে পেট ব্যাথা হয়। পরদিন ২০ জানুয়ারী মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৭/৮ মাসের মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে ও মৃত কন্যা সন্তানটিকে স্বামীর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত ধর্ষক সোহাগ ও গর্ভপাতের দায়ে স্বামী সাদ্দামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।