৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কমলগঞ্জে মাদ্রাসার পুরাতন ভবন নিলামে অনিয়মের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২১, ২০২০
কমলগঞ্জে মাদ্রাসার পুরাতন ভবন নিলামে অনিয়মের অভিযোগ

Sharing is caring!

 

কৃষ্ণা শর্মা-কমলগঞ্জ(উপজেলা)প্রতিনিধি:- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পুরাতন ভবন নিলামে দরপত্র জমা করতে পারেননি ঠিকাদাররা। রাতের আধারে তিনটি দরপত্র কমিটির সদস্যরা জমা করায় আগ্রহী ঠিকাদারদের দরপত্র জমায় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় নিলাম দরপত্রের এ দরপত্র জমার ধায্য দিন ছিল। কিন্তু দরপত্রে অংশগ্রহন করতে না পারায় মাদরাসা প্রাঙ্গনে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়।
জানা গেছে,মাদ্রারাসার পুরাতন শিক্ষক মিলনায়তন,অফিস কক্ষ,ওয়াস ব্লকসহ তিনটি ভবনের তিন হাজার একশত ছিয়ানব্বই বর্গফুট আনুমানিক তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রির দরপত্র দেওয়া হয়। মাদ্রারাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত পুনঃ নিলাম বিজ্ঞপ্তি ২০ জানুয়ারি সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
কমলগঞ্জে প্রচার বিহীন ওই পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি বেলা ১১ ঘটিকা হইতে ২১ জানুয়ারি বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় করতে বলা হয়। এবং ২১ জানুয়ারি বিকার ৩ ঘটিকার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়। গোপনে নিলাম বিজ্ঞপ্তির সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন এলাকার আগ্রহী ঠিকাদাররা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে কমলগঞ্জ,শ্রীমঙ্গল ও সিলেটের ১১জন গোপন দরপত্রের সিডিউল ক্রয় করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু কমিটির সদস্যরা মিলে গতকাল সোমবার রাতেই ৩টি দরপত্র ড্রপিং করায় (জমা করায়) মঙ্গলবার ৮ জন ঠিকাদার তাদের দরপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে তারা ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন। সিলেটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লীজা এন্টার প্রাইজ,কমলগঞ্জের সরোয়ার শোকরানা নান্নাসহ অপর ঠিকাদার বলেন, মাদ্রারাসার পুরাতন ভবন নিলামের নামে লীলা করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির নাম ভেঙ্গ কয়েক সদস্য টেন্ডারবাজি মহড়া করেছেন। ২ লাখ ৬৫ হাজার নামে দুই জন ও ২ লাখ ৫০ হাজার দেখিয়ে এক জন সর্বোচ্চ দরপত্র দাতা হিসাবে সিডিউলে স্বাক্ষর বিহীন আইন বহিভুত ভাবে তিনটি দরপত্র দাখিল করেছেন। তারা গোপন এ দরপত্র বাতিলের জোর দাবী জানান। এ বিষয় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন দরপত্র কমিটির সিদ্ধান্তে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দরপত্র কমিটির সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিব সেটাই আইন। এখানে আইন-আদালতের কোনো হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা কারো নেই।