১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে স্ত্রী কন্যাকে হত্যাকারী ঘাতক শাহীন কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৭, ২০২০
ময়মনসিংহে স্ত্রী কন্যাকে হত্যাকারী ঘাতক শাহীন কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

Sharing is caring!

পুনম শাহরীয়ার ঋতুঃ

ময়মনসিংহ সদরের খাগডহরে মা-মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী ঘাতক শফিকুল ইসলাম শাহীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে পর পরই পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নির্দেশে কোতোয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ ঘাতককে গ্রেফতার মরিয়া হয়ে উঠে। হত্যাকান্ডের মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যেই কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে ঘাতককে গ্রেফতারশেষে কোতোয়ালী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কোতোয়ালী পুলিশের ওসি তদন্ত খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম শাহীন পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রী রুমা আক্তারের সাথে তার ঝগড়া ছিল। সেই ঝগড়া থেকেই বুধবার তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর কিশোরী মেয়ে নাফিয়া আক্তার কার কাছে থাকবে এমন চিন্তায় তাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় অপর মেয়ে সাদিয়া আক্তার লাবণ্য এসে চিৎকার শুরু করলে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সাদিয়া আক্তার লাবণ্যর চিৎকারে পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে এলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাহক শফিকুল ইসলাম শাহীনকে কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্টনন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং মামলাটি কোতোয়ালী পুলিশের কাছে থাকায় শাহীনকে কোতোয়ালী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও এক সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন শফিকুল ইসলাম শাহিন। এ সময় মা-বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সাদিয়া আক্তার লাবণ্য কেউ নরপিশাচ পিতা শ্বাসরেুধে হত্যার চেষ্ঠা করে। গুরুতর আহত লাবণ্য উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। পেশায় জমি ক্রয় বিক্রয়ের দালাল ছিল শফিকুল ইসলাম শাহীন। বৃহস্পতিবার সাদিয়া আক্তার লাবণ্য বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত মা-মেয়ের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্তশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের লাশ স্ত্রী রুমার পিত্রালয় রহমতপুরে নেয়া হয়। সেখানে রাতে নামাজে জানাযাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।