Sharing is caring!
পুনম শাহরীয়ার ঋতু, বিশেষ প্রতিনিধি :বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জা ও ক্ষোভে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ফারজানা আক্তার (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী।
ফারজানা ধর্ষণ কারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকাল ১০ টায় ঢাকা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নানা শ্রেণীপেষার জনগন।
বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে, উক্ত মানববন্ধনে অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন।
ফারজানাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আশিক খান।
আলমগীর হোসেন হাওলাদার,মোঃ জাকির হোসেন,আল আমিন, মোঃ মোহন, লোকমান জোমাদ্দার, ফারুক জোমাদ্দার, জাহিদুল আলম ওয়াসিম মল্লিক,মিজানুর রহমান স্বাধীন সহ বাকেরগঞ্জ এলাকার জনগণ। বক্তারা বলেন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল, মাদক নির্মূলে সরকারের শক্তিশালী ব্যবস্থা পারে এধরনের ধর্ষণের ঘটনা কমিয়ে আনতে। আজ ধর্ষণ হত্যাসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ বাসি যেভাবে এক হয়েছে এইভাবে গোটা বাংলাদেশের জনগণ এক হলে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে আর হবে না বলে মনে করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের ধীরগতি জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে, প্রশাসন যদি অপরাধীদের পিতা-মাতা পরিজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন। বক্তারা আরো বলেন এ ধরনের ঘটনা যদি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দেয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে না।
প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে ম্যানেজ করে অপরাধীরা বারবার মুক্ত হওয়ার কারণে একের পর এক অপরাধের ঘটনা বেড়েই চলেছে।এ ধরনের অপরাধ বন্ধে যুগোপযোগী আইন ও তার সঠিক সময়ে সঠিক প্রয়োগ জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।
উক্ত মানববন্ধনে বরিশাল জেলা ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাজধানীতে বসবাসকারী সর্বস্তরের জনগণ সহ সচেতন নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ফারজানা আক্তার উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব রবিপুর গ্রামের সালাম ফরাজীর মেয়ে এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালঘুনি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গ গত ১২ জুন রাতে প্রতিবেশীর ফাঁকা বাড়িতে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে কবাই এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে মো. রাজিব। এতে সহযোগিতা করে রাজিবের বন্ধু একই এলাকার তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, রাসেদ ও জোবায়ের। রাতভর ধর্ষণের পর সকালে বন্ধুদের সহায়তায় ফারজানাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় তারা। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় ওই দিনই ক্ষোভে-অপমানে বিষপান করেন ফারজানা।
এরপর অসুস্থ ফারজানাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল ভর্তি করেন স্বজনরা।
অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ জুুন মারা যান ফারজানা।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা সালাম ফরাজী ফারজানাকে ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার বাকেরগঞ্জ থানায় রাজিবের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে রাজিবের বন্ধু তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, রাসেদ ও জোবায়েরকে আসামি করে মামলা করেন