Sharing is caring!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে ১৮০ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত উড়োজাহাজটির নির্মাণ সংস্থা বোয়িং কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে না বলে সাফ জানিয়েছে তেহরান। আর এতেই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বৈশ্বিক বিমান বিধিমালা অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটির তদন্তকাজ পরিচালনার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইরানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, গুটিকয়েক দেশেরই ‘ব্ল্যাকবক্স’ বিশ্লেষণের সক্ষমতা রয়েছে।
ইরানের সিভিল এভিয়েশন সংস্থার প্রধান আলি আবেদজাদেহ এক বিবৃতে বলেছেন, আমরা নির্মাতা ও মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিধ্বস্ত ‘বোয়িং-৭৩৭’ মডেলের বিমানটির ‘ব্ল্যাকবক্স’ হস্তান্তর করব না। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত নই যে, ঠিক কোন দেশ এই ‘ব্ল্যাকবক্স’ বিশ্লেষণ করবে।
তিনি আরও জানান, ইরান এভিয়েশন সংস্থা এ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষ তদন্ত করবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেন চাইলে তারাও এতে অংশ নিতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পারান্দে বিধ্বস্ত হয়।
‘ফ্লাইহার্ডার ২৪’ ফ্লাইট ট্র্যাকারের তথ্য মতে, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৭৫২ বোয়িংটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি আরোহীদের নিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বোরিস্পিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
যদিও বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কোনো সন্ত্রাসী হামলার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করছে ইউক্রেন। তেহরানে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস এরই মধ্যে বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে। ইউক্রেন দূতাবাস জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ‘বোয়িং-৭৩৭’ মডেলের বিমানটি কারিগরি ত্রুটির কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রাইসটাইকো জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ৮২ ইরানি, ৬৩ কানাডিয়ান ও ১১ ইউক্রেনিয়, ১০ সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন জার্মান ও তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন।
ইরানি গণমাধ্যম ‘আইএসএনএ’ বিমানটি বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। যাত্রীবাহী বিমানটি অভ্যন্তরীণ টেকনিক্যালজনিত সমস্যার কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।