Sharing is caring!
অভিযোগ প্রতিবেদক :: বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)। ওইদিন বিকালে তেজগাঁওয়ের পুরান বিমানবন্দরে এ আয়োজন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আর্দশ-স্বপ্ন নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের এই প্রয়াস, শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকছে না এতে বিশ্ব দরবারে হবে সম্ভাবনাময় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার ব্রান্ডিং।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কালের পরিক্রমায় তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে অভ্যুদয় বাংলাদেশের।
একাত্তরে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক এই দিনটিতেই জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার স্বাধীন বাংলার মাটি স্পর্শ করেন। ব্রিটিশ এয়ার ফোর্সের কমেড বিমান অবতরনের পর সাথে আমি বঙ্গবন্ধুর গলায় প্রথম মালা পরিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু হাত নাড়লেন এবং চোখে তার অশ্রু।
এই আয়োজনে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ, বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনারের পর, ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর পরই এক যোগে চালু হয়ে যাবে ১২ সিটি করপোরেশনসহ ৫৩ জেলার ৮২ পয়েন্টে বসানো কাউন্ট ডাউনের ঘড়ি। এ আয়োজনে সরাসরি অংশ নিচ্ছে ১২ হাজার দর্শক।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, আমাদের আগামী দিনের জন্য এটা বড় প্রেরণা গতে পারে। সে জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাস সর্ম্পকে নতুন প্রজন্মকে সেটা জানা দরকার। আর আজকে আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে সমৃদ্ধ যে স্বপ্ন দেখছি সেটা সম্ভব হবে।
শুধু ৬৮ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭৭টি মিশনেও চলছে জাতির পিতার জন্মশত বর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি। বর্ণাঢ্য এ আয়োজন শেষ হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-২০২১ সালের ২৬ মার্চ।