১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় দুই ভাইয়ের দুই বউ উধাও,থানায় অভিযোগ দাখিল

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৮, ২০২০
সাতক্ষীরায় দুই ভাইয়ের দুই বউ উধাও,থানায় অভিযোগ দাখিল

Sharing is caring!

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় দুই ভাইয়ের দুই বউ উধাও হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামে। এ ঘটনায় দুই গৃহবধুর মাতা একই উপজেলার বৈচনা গ্রামের আলী আরশাদ গাজীর স্ত্রী আফরোজা খাতুন ও মোচড়া গ্রামের হোসেন মোল্লার স্ত্রী ছফুরা খাতুন. ৭ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় হাজির হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী আফরোজার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের আলী আরশাদ গাজীর মেয়ে রিমু সুলতানার সাথে একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদের ছেলে শহিদুজ্জামান খোকার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সংসারকালে তাদের কোলে একটি মেয়ে সন্তান আসে। বিয়ের পরে ব্যবসা করার জন্য জামাইকে নগদ ১ লাখ টাকা দেয়। তারপরও রিমুর বাবার বাড়ি থেকে সব সময় যৌতুকের টাকা আনতে বলেন শশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে না পারাই রিমু ও তার সন্তানকে রীতিমত ভরনপোষণ ও খেতে দেয় না রিমুর শশুরবাড়ির লোকজন। রিমু ও তার সন্তানকে রীতিমত ভরনপোষণ ও খেতে দেওয়ার বদলে রিমুকে সব সময় বেদম মারপিট, অত্যাচার করতে থাকে ও খুন, ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমিক দেয় রিমু শশুর আব্দুল মাজেদের সহযোগিতায় রিমুর স্বামী শহিদুজ্জামান খোকা, শাশুড়ি ফুন্টি ও নোনদ আছমা খাতুন। একপর্যায় ৩১ ডিসেম্বর রিমুর স্বামী শহিদুজ্জামান খোকা তার শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ফোন করে বলেন রিমুর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। রিমুর বাবা এই সংবাদ শুনে রিমুর শশুর বাড়িতে আসেন। রিমুর শশুর বাড়িতে এসে দেখে তার মেয়ে রিমু বাড়িতে নেই। এরপর রিমুর বাবা তার মেয়েকে খুজে বের করে আনার জন্য আসামীদের সাথে কথা বললে আসামীরা কোনো কথা না বলে রিমুর বাবা মাকে গালিগালাজ করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় আসামীরা। এরপর রিমুর বাবা তার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অনেক খোজখুজি করেও রিমুকে না পেয়ে রিমুর মাতা আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে জামাই শহিদুজ্জামান খোকা, শাশুড়ি ফুন্টি ও নোদন আছমা খাতুনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে বাদী ছফুরার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদের ছেলে নুরুজ্জামানের সাথে ১২ বছর পূর্বে একই উপজেলার মোচড়া গ্রামের হোসেন মোল্লার মেয়ে শিলা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সংসারকালে তাদের কোলে দুইটি মেয়ে সন্তান আসে। বিয়ের পরে জামাইকে একটি পালছার মোটরসাইকেল ও ব্যবসা করার জন্য নগদ টাকা দেয়। তারপরও শিলার বাবার কাছে যৌতুকের টাকা চান শশুরবাড়ির লোকজন। তাছাড়া শিলার বাবার বাড়ি থেকে সব সময় যৌতুকের টাকা আনতে বলেন শশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে না পারাই শিলা ও তার দুই সন্তানকে রীতিমত ভরনপোষণ ও খেতে দেয় না শশুরবাড়ির লোকজন। শিলা ও তার দুই সন্তানকে রীতিমত ভরনপোষণ ও খেতে দেওয়ার বদলে শিলাকে সব সময় বেদম মারপিট, অত্যাচার করতে থাকে ও খুন, ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমিক দেয় শশুর আব্দুল মাজেদের সহযোগিতায় শিলার স্বামী নরুজ্জামান, শাশুড়ি ফুন্টি ও নোনদ আছমা খাতুন। একপর্যায় ৩১ ডিসেম্বর শিলার স্বামী নরুজ্জামান তার শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ফোন করে বলেন শিলার খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিলার বাবা এই সংবাদ শুনে শিলার শশুর বাড়িতে আসেন। শিলার শশুর বাড়িতে এসে দেখে তার মেয়ে শিলা বাড়িতে নেই। এরপর শিলার বাবা তার মেয়েকে খুজে বের করে আনার জন্য আসামীদের সাথে কথা বললে আসামীরা কোনো কথা না বলে শিলার বাবার বাড়ির লোকজনের গালিগালাজ করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় আসামীরা। এরপর শিলার বাবা তার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অনেক খোজখুজি করেও শিলাকে না পেয়ে শিলার মাতা ছফুরা খাতুন বাদী হয়ে জামাই নরুজ্জামান, শাশুড়ি ফুন্টি ও নোদন আছমা খাতুনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় দুই পরিবারটি।