৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ছাতকে এক স্কুল প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ছাতকে এক স্কুল প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ

জামরুল ইসলাম রেজা, ছাতক প্রতিনিধি :

ছাতকের ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফিয়া খাতুন (চদা)’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ উঠেছে। ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জাবের আহমদ এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আফিয়া খাতুন প্রায় ১৬ মাস আগে নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে (চদা) যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি মনগড়া ভাবে বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিদ্যালয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কর্ণার তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে টাওয়াল, সাবান, ডিম, নাস্তা, পান-সুপারি এনে দেয়ার জন্য তিনি চাপ দিয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ১/২দিন আসেন তাও সকাল ১১ থেকে ১২টায়। অনুপস্থিতির দিনগুলো শিক্ষক হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেন। ২৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশের দিন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। পরিক্ষার উত্তরপত্র দেখতে চাইলে ৫শ’ টাকা ফি জমা দেয়ার কথা বলেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দের টাকা প্রধান শিক্ষক মনগড়া ভাবে ব্যয় করছেন, হিসেবে দিতে বিভিন্ন অযুহাত। প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের আলাদা বরাদ্দের টাকাও তিনি আত্মসাত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

 

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আফিয়া খাতুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, বিদ্যালয়েল সহকারি শিক্ষক মোজাম্মিল আলী তার ছেলে পরিক্ষায় কেন মার্ক কম পাবে, ক্লাসে এক নম্বর হলনা কেন এমন বিষয় নিয়ে অহেতুক তর্ক করেন। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জাবেরের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলার কারণে শনিবার বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটি নিয়ে এক বৈঠক করেছেন বলে আফিয়া খাতুন জানান।

 

সহকারি শিক্ষক মোজাম্মিল আলী বলেন, বার্ষিক পরিক্ষার শুধু মাত্র ২য় শ্রেণির উত্তরপত্র স্কুলে না রেখে প্রধান শিক্ষক তার বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের দিন তিনি বিদ্যালয়ে না থেকে ২য় শ্রেণির উত্তরপত্রের মার্কে ব্যাপক গড়মিল দেখা দেয়। তিনি রেগুলার পাশকৃত শিক্ষার্থীদের পিছনে রেখে যারা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে নিয়ম ভহির্ভুত ভাবে ক্রমিক নম্বর উপরে তুলে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারি জাবের তার পুত্রের ফলাফল খারাফ হওয়ায় উত্তরপত্র দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের সাথে জাবেরের মতবিরোধ দেখা দেয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাশ অভিযোগ প্রাপ্তির নিশ্চিত করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031