Sharing is caring!
স্মৃতি কাঁদায় নিতি
জাহিদুল ইসলাম
কখনো কী পড়ে মনে, কৈশোরের সেই স্মৃতি?
হাতে ধরে-হাত পোহালে রাত, চলেছি নিতি।
কাক-ডাকা ভোরে, আকা-বাঁকা ঐ পথ ধরে,
চলেছি দুজন নীহারে হেঁটে,–মনে কী পড়ে?
অংক কষতে নিত্য উষায়, দত্ত স্যারের বাসায়,
গণিতে হবো আরো সমৃদ্ধ,–এই-না আশায়।
স্যার পড়াতেন মনযোগে–চোখে চশমা এঁটে,
সূত্র বুঝাতেন সাবলীল ভাবে, পৃষ্ঠা ঘেঁটে।
চশমার ফাঁকে চোখ রেখে প্রশ্ন, দেরি কেন-রে?
ঘাড় বাকিয়ে মাথা চুলকিয়ে বলি স্যার বাড়ি দূরে।
যেতে আসতে ছিল পথ, প্রায় দুই ক্রোশ,
সমান-তালে চলা ছিল, রুটিন-মাফিক প্রত্যুষ।
যেতে হবে তোমায় নিয়ে সাথে, এই বায়না,
উষাকালেও ওষ্ঠে মনযোগ তব, নিয়ে আয়না!
সারা-পথ চলেছি দুজন একত্রে আদুড় পায়ে,
নগ্ন-পা লেগেছে কতো কুয়াশাস্নাত ঘাসের গায়ে।
বেহায়া-সম চুমেছে হিমানী, যুগল-পা প্রভাতে,
ঝাড়বাতি ঝলকে জ্বলে,ভাস্কর কিরণ আভাতে।
তব ছুঁবে বলে ঘাসের ডগে থাকিত সে উৎপেতে,
রূপের মোহ লিপ্সায়, ব্যগ্র চপলতায় রয় মেতে।
কখন যাবে তুমি মেঠোপথ ধরে, এই-না আশে,
পরশ পেতে হিম শবনম, ঘাসের পরে ভাসে !
মাঝে-মাঝে বলেছি তব, টিপ্পনি কেটে হেসে,
দেখেছ শিশিরবিন্দু তোমায় কতো ভালোবাসে।
তুমি দিলখোলা হাসিতে-হেসে,পড়তে লুটিয়ে
এভাবে’ই গেছে সময় নীরবে নিভৃতে চুটিয়ে।
তুমি বলতে মাহিন দেখো,একদা তুমি কবি হবে,
সেদিন কী আর কবি সাহেব, তুমি আমার রবে?
হ্যাঁ শায়লা, আমি আজ কবি, পথে-পথে ঘুরি,
তুমি গেলে চলে হৃদয় দলে, দিয়ে হাতে তুড়ি!
তব তরে, স্মৃতির গহ্বরে, বিভোর পড়ে রই,
তুমি আজ অন্যের ঘরণী,এ-ব্যথা কেমনে সই।
সাদুল্ল্যাপুর, গাইবান্ধা
মোবাইল নং- ০১৭৬১.২৬১৮১২