Sharing is caring!
আবু সাঈদ, শ্রীপুর প্রতিনিধি :-
দরূদ শরীফের উপকারীতা অসংখ্য। দরূদ শরীফ পড়ার সবচেয়ে বড় উপকারীতা হচ্ছে, যে ব্যক্তি একবার রসুলুল্লাহ ( স. ) এর প্রতি দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির প্রতি দশবার দরূদ পাঠান এবং ঐ ব্যক্ত..রি জন্য দশ প্রকার সম্মান সমুন্নত হয়,।
১০টি পূণ্য লেখা হয়, ১০টি পাপ মোচন হয়। এছাড়াও
– রসুলুল্লাহ ( স. ) এর শাফায়াত ঐ ভ্রক্কির জন্য আবশ্যক হয়ে যায়।
– কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি রসুলুল্লাহ ( স. ) এর সঙ্গে থাকবে।
– ইচ্ছা ছাড়াও দরূদ শরীফ পড়লে দ্বীণ-দুনিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, গুনাহ মাফ হয়।
– দরূদ শরীফ পড়লে তা সদকায় রূপান্তরিত হয়।
– এর বরকতে কষ্ট ও কাঠিন্য বিদূরীত হয়, রোগমুক্তির ভাগ্য হয়।
– দরূদ পাঠকের জন্য সর্বদা ফেরেশতাগণ রহমত কামনা করেন এবং অন্তর পরিশুদ্ধ হয়, বাড়ি ও সম্পদে বরকত হয়।
– দরূদ শরীফ পাঠকের বংশে কয়েক পুরুষ পর্যন্ত বরকতের প্রভাব বজায় থাকে।
– মৃত্যুর আযাব হতে পরিত্রাণ পান, কিয়ামতের ভয়ানক অবস্থায় নিশ্চিন্ত থাকে।
– এর বরকতে দারিদ্রতা বিদূরীত হয়।
– যে সমাবেশে দরূদ পড়া হয় আল্লাহ তায়ালার রহমত তাকে ঢেকে নেয়।
– কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ ( স. ) এর মুসাফাহার সৌভাগ্য হবে, ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে নেকী ও মাগফেরাত কামনা করবে।
রাসুলের জন্য আল্লাহ সর্বোচ্চ প্রসংশিত স্থান (মাকামে মাহমুদ) ঠিক করে রেখেছেন। তার নিজের জন্য কোন দোওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আল্লাহ তার রাসুলকে সবচে বেশি ভালবাসেন। তাই কেউ তার ভালবাসার মানুসের জন্য ভালবাসা প্রকাশ করলে (দরুদ পড়লে) তিনি খুশি হন। আর তারই প্রতিদান দেন তিনি বিভিন্ন ভাবে।
আর যে কেউ রাসুল কে সালাম দিলে – সে সালাম তার কাছে পৌছে যায়। তখন রাসুল সেই সালামের উত্তর দেন। যা আমাদের জন্য রহমত হয়ে দাড়ায়।
রাসুল (সাঃ) তাঁর উপর দুরুদ পাঠের ফজীলত বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে (তার বিনিময়ে) সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ দশটি রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ মোচন করেন এবং তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন।”
[সহীহ নাসাঈঃ ১২৩০]