১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

“বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন রচনা”

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
“বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন রচনা”

তথ্য সংগ্রহে রচনায়- কবি ডা.মিজান মাওলা :

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি জানান বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন-  আপডেট রচনা কাল- ১০/১২/১৯ ইং

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৭ ইং
বিস্তারিত বর্ণনা:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাত দিন কারা ভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিন তিনি কারাভোগ করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে।

জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২দিন কারাভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার স্কুলজীবনে ব্রিটিশ আমলে ৭দিন কারা ভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫দিন কারা ভোগ করেছেন পাকিস্তান সরকারের আমলে।’ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ বলেন, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে বসেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলার পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে ছিলেন। স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ১৯৩৮ সালে সর্ব প্রথম কারাগারে যান। ওই সময় তিনি ৭দিন কারাভোগ করেন। এরপর ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি ৫দিন কারাগারে ছিলেন। একই বছর ১১ সেপ্টেম্বর কারাগারে গিয়ে তিনি মুক্তিপান ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় তিনি ১৩২ দিন কারাভোগ করেন।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালের ১৯ এপ্রিল আবারও কারাগারে গিয়ে ৮০দিন কারাভোগ করে মুক্তি পান ওই বছরের ২৮ জুন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি আবারও ২৭দিন কারাভোগ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ দিন তিনি কারাভোগ করেন। ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি টানা ৭৮৭দিন বঙ্গবন্ধু কারা ভোগ করেন। এরপর ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়। এ দফায় বঙ্গবন্ধু ২০৬ দিন কারা ভোগ করেন।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারির পর বঙ্গবন্ধু ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন। এ সময়ে একটানা এক হাজার ১৫৩দিন তাকে কারাগারে কাটাতে হয়।’

কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুর একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে ছিলেন। তিনি ১৯৩৮ সালে প্রথম কারাগারে যান। এরপর ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি পাঁচ দিন কারাগারে ছিলেন। একই বছর ১১ সেপ্টেম্বর আটক হয়ে মুক্তি পান ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় তিনি ১৩২ দিন কারাভোগ করেন। এরপর ১৯৪৯ সালের ১৯ এপ্রিল আবারও কারাগারে গিয়ে ৮০ দিন কারাভোগ করে মুক্তি পান ২৮ জুন। ওই দফায় তিনি ২৭ দিন কারাভোগ করেন। একই বছরের ১৯৪৯ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ দিন এবং ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি টানা ৭৮৭ দিন কারাগারে ছিলেন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয় বলে তোফায়েল আহমেদ জানান। তিনি বলেন, সে সময়ে বঙ্গবন্ধু ২০৬ দিন কারা ভোগ করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির পর বঙ্গবন্ধু ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন। এ সময়ে টানা ১ হাজার ১৫৩ দিন তাঁকে কারাগারে কাটাতে হয়। এরপর ১৯৬২ সালের ৬ জানুয়ারি আবারও গ্রেপ্তার হয়ে মুক্তি পান ওই বছরের ১৮ জুন। এ দফায় তিনি কারাভোগ করেন ১৫৮ দিন। এরপর ’৬৪ ও ’৬৫ সালে বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ৬৬৫ দিন কারাগারে ছিলেন। ছয় দফা দেওয়ার পর জাতির পিতা যেখানে সমাবেশ করতে গেছেন, সেখানেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওই সময়ে তিনি ৩২টি জনসভা করে বিভিন্ন মেয়াদে ৯০ দিন কারাভোগ করেন। এরপর ৬৬ সালের ৮ মে আবারও গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পান। এ সময় তিনি ১ হাজার ২১ দিন কারাগারে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পাকিস্তান সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ দফায় তিনি কারাগারে ছিলেন ২৮৮ দিন।

দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনঃ
১। ১৯৩৮- ৭ দিন ২। ১৯৪৮ – ৪ মাস
৩। ১৯৪৯- ৯ মাস ৪। ১৯৫০- ১ বছর
৫। ১৯৫১- ১ বছর ৬। ১৯৫২- ২ মাস
৭। ১৯৫৪- ৮ মাস ৮। ১৯৫৮- ৩ মাস
৯। ১৯৫৯- ১ বছর

১০। ১৯৬০- ১ বছর (কার্যত গৃহবন্দি, রাজনীতি নিষিদ্ধ)
১১। ১৯৬১- ১ বছর (কার্যত গৃহবন্দি, রাজনীতি নিষিদ্ধ)
১২। ১৯৬২- ৬ মাস ১৩। ১৯৬৪- ১০ মাস ১৪। ১৯৬৫- ১ বছর ১৫। ১৯৬৬- ১১ মাস ১৬। ১৯৬৭- ১ বছর ১৭। ১৯৬৮- ১ বছর ১৮। ১৯৬৯- ২ মাস
১৯। ১৯৭১- ১০ মাস ২০। ১৯৭২- ৮ দিন
কার জন্য ছিলো এই ত্যাগ??

এ ছাড়া আজ আমির হোসেন আমু এমপি, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, দীপু মনি এমপি প্রমুখ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ভাষণের ওপর আলোচনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031