মোঃ আদম আলী,বিশেষ প্রতিনিধি -সাতক্ষীরা :-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে ইটাগাছা বাঙালের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার মহাসড়কের দু’পাশে মাটি না থাকার কারনে অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি দু’পাশে মাটি না থাকায় প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা, সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন চালকরা।জানা যায়, সড়কের পাশর্^বর্তী বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মূল সড়কে দু’পাশে এক থেকে দেড় ফুট, কোনো কোনো জায়গায় ৩ ফুট বা তারও উপরে নিচু হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।তারা আরোও জানান, ৩ বছর আগে ব্যস্ততম এই সড়কটি পূন:নির্মানকল্পের সময় মাটি থেকে রাস্তাটি ১থেকে২ফুট উচু করে নির্মান করা হয়,এই উচ্চতা নিরসনকল্পে সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে হালকা মাটি ফেললেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই আবার তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়।আঞ্চলিক মহাসড়কের মূল সড়ক থেকে মাটির অংশ নিচু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ছাড়াও যানবাহন বিকল হয় এই রাস্তায়।ফলে গাড়ি চালানো বা ক্রসিংয়ের সময় একটু অসতর্ক থাকলেই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাস, ট্রাক, লরি, সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ হালকা যানবাহনের চালকরা দ্রুতগতির বাস ও ট্রাককে পাশ দিতে গিয়ে নিচু জায়গায় যানবাহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। মাসের পর মাস এই চিত্র সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করলেও সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। অথচ তাদের অবহেলায় তৈরী হয়েছে এই সংকটময় অবস্হা। ফলে পিচ ঢালা রাস্তাটি সুন্দর দেখা গেলেও পাশে তৈরী হয়েছে মৃত্যুর ফাঁদ। অত্র এলাকায় বসাবসকারী বকচারা দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ রমজান আলী ও স্কুল মাষ্টার আজিবর রহমান জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকি। গত ৩ বছরেও বেশী সময় ধরে রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। রাস্তাটির পাশে মাটি না থাকার কারনে অগনিত বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। যার কারনে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা জরুরী ভিত্তিতে সড়কটির মেরামত করার দাবী করছি।বর্তমানে সড়কটির বেশির ভাগ অংশেরই দুই পাশে মাটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পথচারীরা।