৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ নৌবাহীনি

admin
প্রকাশিত জুন ১৩, ২০১৯
বাংলাদেশ নৌবাহীনি

Sharing is caring!

হেলাল আহমদ, লেবানন থেকে::

বিশ্ব শান্তি রক্ষা মিশন ইউনিফিলের ৬টি দেশের নৌবাহীনি রয়েছে লেবাননের সমুদ্র সিমানায়।
এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশে। ২০১০ সাল থেকে দক্ষ ও সুনামের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনী লেবাননের সমুদ্রসীমায় চোরাচালান রোধ, অনাকাক্সিক্ষত জাহাজ চিহ্নিত করা, প্রয়োজনে অপারেশনে সহায়তা করাসহ বিভিন্নভাবে লেবাননকে সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বিজয় এ দায়িত্ব পালন করছে ১১৬ জন। সমুদ্র সিমানা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহীনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে লেবানন নৌবাহিনীর সদস্যদেরও।

১২ জুন বুধবার ১১০জন্য অফিসার ও নাবিক অর্জন করেন ইউনিফিলের মেডেল, আয়োজন করা হয় ইউ এন মেডেল অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিফিলের মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এডুয়ার্ডো অগাস্টো ওয়াইল্যান্ড (ব্রাজিল নৌবাহীনি)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, লেবানন নৌবাহীনি প্রধান হুসনি দাহের, বাংলাদেশ থেকে আগত নৌবাহীনির বিশেষ প্রতিনিধি দলে প্রধান কমোডর মোজাম্মেল হক, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, তুর্কি ও অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত সহ অনেকে।

অনুষ্ঠানের অতিথি বৃন্দ তাদের ১১০জন অফিসার ও নাবিকের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন।
বিশেষ প্রতিদলের প্রধান কমোডর মোজাম্মেল হক বলেন, লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহীনি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যে অ্যাওয়ার্ড আজ ১১০ জন পেল, তা সত্যিই গর্বের বিষয়। তিনি আরো বলেন, লেবাননে বাংলাদেশের নিন্ম শ্রমিক থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে। রয়েছে বাংলাদেশে দূতাবাসও। বাংলাদেশ নৌবাহীনির জন্য আজ আমরা লেবাননে সুপরিচিত।

বাংলাদেশ থেকে আগত নৌবাহীনির অডিট টিমের প্রধান ক্যাপ্টেন এম শরিফ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আজ লেবাননে এবার মুখে বাংলাদেশ নৌবাহীনির প্রসংসা। এটা আমাদের বিশাল অর্জন। বাংলাদেশে ও দেশের নৌবাহীনির জন্য অনেক গৌরবের বিষয়।

অনুষ্ঠানের মেডেল পরানো শেষে মেডেল প্যারেড উপলক্ষে কেক কাটা হয়, এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাহাজ বিজয়ের প্রধান ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম। পরে আগত অতিথিদের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের শান্তি রক্ষার যে কার্যক্রম এটি এখন সারা বিশ্ব জানে। শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন অন্যতম।

আজকের এই অর্জন অত্যন্ত অনন্দের বিষয়। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বহুদেশ এই শান্তি রক্ষা মিশনে অংশ গ্রহন করছে। দেখা যায় অনেক দেশের কোন না কোন দূর্নাম রয়েছে, সে দিক থেকেও বাংলাদেশ একটি মাত্র দেশে যাদের কোন দূর্নাম নেই।

লেবাননে জাতিসংঘের পতাকার সঙ্গে পতপত করে উড়ছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা, ইসরায়েলের জলসীমার কাছে নিয়মিত মহড়ায় অংশ নিয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশে এই অর্জিত সুনাম রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান বিশিষ্ট জনেরা