Sharing is caring!
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় শিল্পী আক্তার মৃত্যুতে গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে মামলা করেছে মোসাঃ সাহিদা বেগম (৪৫)। যার মালমলা নং- সিআর- ২০/২০১৯ইং। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গলাচিপা থানার ওসিকে ইউডি মামলার প্রতিবেদন সহ প্রয়োজনিয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। শিল্পী হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার মেয়ে। আসামীরা হলেন, মোঃ হানিফ সরদার, মোঃ রাসেল সরদার, মোসাঃ সুখি আক্তার, মোঃ নাসির মোল্লা, মোসাঃ রাজিয়া বেগম, আব্দুল আজিজ সরদার, মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা। মামলা সূত্রে ও শিল্পীর মা সাহিদা বেগম জানান, শিল্পী গলাচিপা সরকারি ডিগ্রী কলেজে প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্রী।
মোঃ হানিফ সরদার বিভিন্ন সময় আমার মেয়ে শিল্পীকে কলেজে আশা জাওয়ার পথে অশালীন প্রস্তাব সহ নানাভাবে উত্যক্ত করিত এবং বাজে মন্তব্য করিত। পরে হানিফ সরদারের ছোট ভাই রাসেল সরদার, ও মানুষের কাছে বলে বেড়াতেন যে শিল্পীর সাথে ৩ লক্ষ টাকার কাবিনে বিবাহ হয়েছে।
পরে এ নিয়ে শিল্পী আক্তার কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মানুষিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। আমি জেনে আমাদের গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদারের কাছে বিষয়টি জানাই। সে বিষয়টি আমলে নিয়ে খলিল সরদারের ঘরে দুই পক্ষকে ডেকে সালীশির ব্যবস্থা করেন।
আসামীরা সেখান থেকে খারাপ আচরণ করে সালীশির বৈঠক থেকে উঠে জান। আমার মেয়ে ওদের আচরনে ঘরে থাকা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পরলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার শিল্পীকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার কেরন। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের ডাক্তার শিল্পীকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করেন।
গত ২২-০২-২০১৯ ইং তারিখ ২টা ১৫মিনিটে শিল্পী মৃত্যু বরণ করেন। এবিষয় শিল্পীর বাবা সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আসামীদের ভয়ে এখন আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এই মামলার ৩নং সাক্ষি হাসান মোল্লা বলেন, মামলায় সাক্ষি হওয়ায় আসামীরা।
সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ প্রচার করেছে এবং আমাকে ভয় দেখাচ্ছে আমি যাতে এই মামলায় সাক্ষি না দেই।শিল্পির ভাই শামীম জানান, জমি জমার জের ধরে আমার বোনের উপর অমানবিক অত্যাচার করেছে।
গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন, আসলেই বিষয়টি দুঃখ জনক। গলাচিপা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ ফোরকান কবির বলেন, শিল্পী আক্তার আমার কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্রী ছিলেন, ওর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। প্রকৃত আসামীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।