২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বোরহানউদ্দিন আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে দশ দিন যাবত অস্ত্রবিহীন মৌলিক প্রশিক্ষণ

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২০
বোরহানউদ্দিন আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে দশ দিন যাবত অস্ত্রবিহীন মৌলিক প্রশিক্ষণ

বোরহানউদ্দিন আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে দশ দিন যাবত অস্ত্রবিহীন মৌলিক প্রশিক্ষণ

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট এর নির্দেশে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে দেউলা ইউনিয়নের ১০দিন যাবত মৌলিক অস্ত্রবিহীন প্রশিক্ষন ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।

ভোলা বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়নের ৩০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ০১ই নভেম্বর ২০২০ হতে ১২ ই নভেম্বর ২০১০ পর্যন্ত,
দশ দিন যাবত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গ্রাম ভিত্তিক অস্ত্রবিহীন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ পুরুষ এবং মহিলাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতেই আজ ১২ ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার ১০ দিন যাবত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রতিদিনই মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা এবং আরো অন্যান্য প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা এসে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের এই দশ দিন যাবৎ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবং আলোচনা করা হয়।

প্রশিক্ষন শেষে আনসার ভিডিপি সদস্যদের মাঝে এক হাজার টাকা করে এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ১০ দিনের একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভোলা জেলা কমান্ডার, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং তৎকালীন পূর্ববাংলা আইন পরিষদে আনসার এ্যাক্ট অনুমোদিত হলে ১৭ জুন ১৯৪৮ সালে তা কার্যকর হয়। তখন থেকে এ বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালে দেশের সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে আনসারদের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর) এর শপথ গ্রহণ শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর নেতৃত্বে ১২ জন আনসার বাহিনীর সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আনসার বাহিনীকে বিদ্রোহী আখ্যায়িত করে বিলুপ্ত করা হয়। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে আনসার সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী ও ৬৫৭ জন আনসারসহ সর্বমোট ৬৭০ জন শহীদ হন। বাহিনীর ১ জন বীর বিক্রম এবং ২ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার অদূরে সাভারে আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) ও ১৯৮০ সালে শহর প্রতিরক্ষা দলের (টিডিপি) সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে এ দুটি বাহিনীই আনসার বাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়। ১৯৭৬ সালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরে জাতীয় আনসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এনএটিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এর নামকরণ হয় আনসার ট্রেনিং স্কুল। ১৯৮৬ সালে আনসার ট্রেনিং স্কুলকে আনসার একাডেমিতে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৫ সালে এর নামকরণ হয় আনসার-ভিডিপি একাডেমি। বাহিনী বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে আনসার বাহিনী আইন-১৯৯৫ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫- দ্বারা, যা সংসদ কর্তৃক গৃহীত হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ হতে কার্যকর হয়। এ দুটো আইন অনুসারে সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আনসার বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক,জনাব, মোঃ আঃ রহিম ও উপজেলা প্রশিক্ষিকা কোহিনুর বেগম, আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৃন্দুরা । এবং বাহিনীর অন্যান্য সদস্য বিন্দু।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031