২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্নীতির রানী শামীমা স্ট্যান্ড রিলিজ

প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০২০
ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্নীতির রানী শামীমা স্ট্যান্ড রিলিজ

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্নীতির রানী শামীমা স্ট্যান্ড রিলিজ

সৈয়দ রুবেল,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দূর্নীতির রানী খ্যাত শামীমা ইয়াসমিনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহিয়ার হোসেন ১১ অক্টোবর (৯০০নং স্মারকে) প্রদানকৃত এক আদেশ ১৫/১০/২০২০ইং তারিখ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠিতে এসে পৌছেছে।

প্রধান প্রকৌশলীর স্বাক্ষরিত আদেশে ১৯/১০/২০২০ইং তারিখের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ও পৃথক আদেশে (৯০১নং স্মারকে) সওজ, সেতু ডিজাইন উপ-বিভাগ-২, তেজগাঁও, ঢাকার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন’কে ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়েছে। শেখ নাবিল হোসেন এর আগে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগেরও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।

দূর্নীতির রানী খ্যাত নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন ২০১৯সালের ২৫ নভেম্বর ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেই সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা, কার্যাদেশ ছাড়া ঠিকাদারকে কাজ ও বিল প্রদান, মালামাল সরবরাহ কাজে অসচ্ছতাসহ নানা অনিয়ম কর্মকান্ড করে আসছিলেন তিনি। মাত্র ১১ মাস কর্মকালে তাঁর অশোভন আচরণ ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর অফিস তাঁকে সতর্কও করেছিল বলে অফিস সূত্রে জানা যায়।

ঝালকাঠি সংবাদপত্র পরিষদ (জেএসপি) শামীমা ইয়াসমিনের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে এক স্মারকলিপিও প্রদান করেছিলেন ।

একই ভাবে তারা জনস্বার্থে জেলা প্রশাসকের কাছেও লিখিত ভাবে বিষয়টি অবগত করেন। ইতিমধ্যে তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক ঘটনা জাতীয় দৈনিক সহ ঝালকাঠির স্থানীয় সংবাদপত্রে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

জানাগেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ‘জরুরী রুটিন মেইনটেন্যান্স ব্যতীত ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন বিটুমিনের কাজ না করতে সরকারি নির্দেশনা জারী করেন। সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাহী প্রকৌশলী শামিমা ইয়াসমিন ও ঠিকাদার আমিনুল হকের যোগসাজসে পিএমপি মাইনর খাতের দপদপিয়া-মোল্লারহাট-মহেশপুর রাস্তাটি ১৫ জুনের পরে ৯ম অংশ হতে ১০ম অংশ পর্যস্ত বেইস টাইপ-২ ও সিল কোটের কাজ সম্পন্ন করান।

নলছিটি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গত ২৫ জুন ৬৩৫ নং স্মারকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেয়া পত্রে জানান, বিধি বর্হিভূত ভাবে ঠিকাদার কাজটি কার্যাদেশ ছাড়া ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে না জানিয়ে করা হয়েছে। তাই বিধি অনুযায়ী এই কাজের বিল দাখিলের জন্য রেকর্ডে স্বাক্ষর, প্রস্তাবনা প্রেরন করা সম্ভব নয়। যে কারনে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে উপেক্ষা করে নির্বাহী প্রকৌশলী শামিমা ইয়াসমিন সরকারি নির্দেশনাসহ দাপ্তরিক বিধি ভঙ্গ করে ঠিকাদারকে উক্ত কাজের ৪৫ লক্ষ টাকার বিল প্রদান করেন। নির্বাহী প্রকৗশলী শামিমা ইয়াসমিন নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে এ দূর্নীতি ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

আরো অভিযোগ ওঠে, গত অর্থ বছরের ১৬এপ্রিল ৪৯৩/১(৫) নং স্মারকে রাজাপুরে স্টাক ইয়ার্ডে মো. এনায়েত হোসেনকে ৩০% লেস দিয়ে ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় পি.জে ব্রিকস, স্টোন সিপস, সিলেট বালু এবং লোকাল বালু সাপ্লাই কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। অন্যদিকে একই বছর একই ধরনের মালামাল সাপ্লাই দেয়ার জন্য ১২ মে ৫৭১/১(৮) নং স্মারকে সম্পা কনস্ট্রাকশনকে ঝালকাঠির স্টাক ইয়ার্ডে মাত্র ১% লেসে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যায়ে অপর এক কার্যাদেশ দেয়া হয়। একই দপ্তরে একই মালামাল সাপ্লাইয়ে দুই স্থানে সাড়ে ৯ লাখ টাকা সরকারী তহবিলের গচ্ছা দিতে হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031