১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চসিকের সাবেক কাউন্সিলরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২০
চসিকের সাবেক কাউন্সিলরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

আব্দুল করিম,চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:

কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ এনে পুলিশ কর্মকর্তা, চসিক সাবেক কাউন্সিলরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এক নারী। বুধবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন জোহরা বেগম। আদালত অভিযুক্ত ছয় জনের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।জোহরা বেগম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আমিন কলোনির বাসিন্দা নুরুল ইসলামের স্ত্রী।মামলায় অভিযুক্ত: বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মো. নাসিম হোসেন, চসিকের পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোবারক আলী, স্থানীয় শামসু, ইলিয়াস, মিঠু কুমার দে ও পুলিশের কথিত সোর্স ফোরকান। যদিও মামলার আরজিতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকারসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হলেও তা আমলে নেননি আদালত। যাদের অপরাধ আমলে নেয়া হয়নি তারা হলেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন ওসি (বর্তমানে চান্দগাঁও থানায় কর্মরত) আতাউর রহমান খন্দকার, এসআই নোমান ও দীপঙ্কর, কথিত পুলিশের সোর্স আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মাসুদ রানা, হারুন ও লাল সুমন।জোহরা বলেন, ‘গত বছরের ৩১ আগস্ট আমিন জুটমিলের সামনে মারামারি হয়। রাতে পুলিশ এসে আমার ছেলে জয়নালকে ধরে নিয়ে যায়। আমি রাতে থানায় গিয়ে তাকে পাইনি। পরদিন সকালে আমাকে কাউন্সিলর মোবারক আলীর অফিসে যেতে বলে পুলিশ। সকালে আমি সেখানে গেলে কাউন্সিলর মোবারক আলী ও সামশুরা মিলে আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং ভয়ভীতি দেখায়। রাত ৯টায় তারা আমাকে ছেড়ে দেওয়ার পর আমি বাসায় চলে যাই। রাত ৩টার দিকে কয়েকজন এসে আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার জন্য রক্ত লাগবে। আমি যেন দ্রুত হাসপাতালে যাই। আমি হাসপাতালে গিয়েদেখি ছেলের লাশ । আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। মারামারির মধ্যে সে ছিল না। সেখানে যে জয়নাল ছিল, তাকে গ্রেপ্তার না করে পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30