২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে সন্তানকে বিক্রি করলো বাবা, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
শেরপুরে সন্তানকে বিক্রি করলো বাবা, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

 

 

 

শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-

শেরপুরে সাপমারী গ্রামে ৯১ হাজার টাকার বিনিময়ে সন্তানকে অন্যত্র বিক্রি করে দেন বাবা সুলতান। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মা সোমা আক্তার সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে স্বামীর কাছে বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু এ কথা কানে তোলেননি স্বামী সুলতান। বরং স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হেনস্থা করেন।

 

সন্তানের শোকে ইউরিয়া সার খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা সোমা। বুধবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

পরে থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সড়কে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা মা’কে উদ্ধার করেন।

 

সেইসাথে পুলিশি তৎপরতা চালিয়ে শিশুটিকেও উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে মা ও শিশুকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে শিশুটির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের সুলতান ঘরে দুই স্ত্রী রেখে প্রায় আড়াই বছর আগে গাজীপুরের মাওনা এলাকার সোমা আক্তারকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

 

এদিকে তাদের দাম্পত্য জীবনে সোমা আক্তার গভবর্তী হয়। সম্প্রতি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে সোমা সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়।

 

এদিকে সিজারের জন্য স্বামী সুলতান ২২ হাজার টাকা খরচ করেন। পরে সিজারের ২২ হাজার টাকা সুলতান স্ত্রী সোমা আক্তারের কাছে দাবি করেন। টাকা না দিলে সন্তানকে বিক্রি করে টাকা আদায় করবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

 

এক পর্যায়ে স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে পাশের কানাশাখলা গ্রামের জনৈক শফিকের কাছে ওই শিশুটিকে ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন সুলতান।এদিকে আজ বুধবার মা সোমা আক্তার সন্তানের খোঁজে শফিকের বাড়িতে যায়।

 

এ সময় ক্রেতা শফিক শিশুটি তার বাসায় নেই জানিয়ে সোমাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ফেরার পথে স্থানীয় কানাশাখলা বাজারে ইউরিয়া সার খেয়ে সোমা আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

 

এ খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশের কাছে পৌঁছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।অন্যদিকে শফিক দাবি করেছে, সে শিশুটিকে কিনে নয় বরং তার সন্তান না থাকায় লালন পালন করতে দত্তক নিয়েছিলেন।
এএসপি (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30