২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আল্লামা আহমদ শফী’র মৃত্যুতে কবি মিজানুর মাওলা জীহাদির শোক শ্রদ্ধাঞ্জলি

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
আল্লামা আহমদ শফী’র মৃত্যুতে কবি মিজানুর মাওলা জীহাদির শোক শ্রদ্ধাঞ্জলি

আল্লামা আহমদ শফী’র মৃত্যুতে কবি মিজানুর মাওলা জীহাদির শোক শ্রদ্ধাঞ্জলি

 

আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (রঃ) দাঃ বাঃ মুজাদ্দিল আলী
(ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় পণ্ডিত)

 

সম্পাদনাঃ
একজন ব্যক্তির সম্বন্ধে যিনি সাম্প্রতিককালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
শাহ আহমদ শফী (১৯১৬- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)[৩] (যিনি আল্লামা শাহ আহমদ শফী নামেও পরিচিত) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আমীর। তিনি একইসাথে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের হাটহাজারীর মহাপরিচালক ছিলেন।[৪]

 

যার কর্ম কাণ্ডঃ শায়খুল ইসলাম শাহ আহমদ শফী (র)
আমীর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
অফিসে
২০১০ – ২০২০,
আচার্য, দারুল উলুম হাটহাজারী[১]
অফিসে
১৯৮৬ – ২০২০,
সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ[২]
অফিসে- ২০০৫ – ২০২০,
পূর্বসূরী- নুরুদ্দীন আহমদ গহরপুরী
ব্যক্তিগত
জন্ম- ১৯১৬
পাখিয়ারটিলা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
মৃত্যু- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০,
আজগর আলী হাসপাতাল, ঢাকা সময় বিকাল ৬.১৫ঘন্টায় যথাযথ,
ধর্ম- ইসলাম
জাতীয়তা- বাংলাদেশি
পিতামাতাঃ
বরকত আলী (পিতা)
মেহেরুন্নেছা (মাতা)
জাতিসত্তা- বাঙালি
যুগ- আধুনিক
আখ্যা- সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র- হানাফি
আন্দোলন- দেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ- হাদিস, তাসাউফ, ইসলামি আন্দোলন, ওয়াজ-নসীহত
উল্লেখযোগ্য কাজ- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
যেখানের শিক্ষার্থী
দারুল উলুম দেওবন্দ
দারুল উলুম হাটহাজারী স্বাক্ষর

 

প্রারম্ভিক জীবনঃ
আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতার নাম বরকত আলী ও মায়ের নাম মেহেরুন্নেছা।[৬]

 

শফী রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায় তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন। তারপর দশ বছর বয়সে[৭][৮] তিনি হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যায়ন করার পর ১৯৪১ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যান এবং দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন।[৯] হাদিস ও ফিকাহ শাস্ত্রে চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায়। সেখানে তিনি চার বছর তাফসির, হাদিস, ফিকহ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসাইন আহমদ মাদানির সংস্পর্শে আসেন এবং তার কাছে আধ্যাত্মিক শিক্ষালাভ করেন।[৬]

 

কর্মজীবনঃ
শফী ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে মাদ্রাসাটির মজলিশে শুরা তাকে মহাপরিচালক বা মুহতামিম নিযুক্ত করে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাসাটির শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পান।

 

২০০৮ সালে তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড – বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠন করা হলে আহমদ শফীকে এর আমির মনোনীত করা হয়।

 

২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আহমদ শফীর পদত্যাগ এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে দারুল উলুম হাটহাজারীর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। দুপুর থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়, রাত্রে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা হয় এবং পরদিন আহমদ শফী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। ছাত্ররা সরকারের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়, আহমদ শফী পদত্যাগ করলে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়।[১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫]

 

দৃষ্টিভঙ্গিঃ
শফী ২০০৯ সালে আজিজুল হক ও অন্যান্য বয়োজ্যেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন যেখানে, ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।[১৬]

 

সমালোচনাঃ
২০১৩ সালের মন্তব্য
২০১৩ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আহমেদ শফীর দেওয়া একটি বক্তৃতাকে অত্যন্ত নারী বিদ্বেষী বলে দাবী করা হয়। ঐ বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন: “আপনি কেন আপনার মেয়েকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে পাঠাচ্ছেন?… সে ফজরের পর ৭/৮টায় কাজে যায় আর রাত ৮/১০/১২টায়ও ফিরে আসেনা… আপনি তো জানেননা সে কোন পুরুষের সাথে মেলামেশা করছে। আপনি তো জানেননা সে কি পরিমাণ যিনার সাথে যুক্ত হচ্ছে।”[১৭]

 

বক্তব্যটি নারী অধিকার কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে। তারা তাকে জেলে পাঠানোর দাবী তোলে।[১৮] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এই বক্তব্যকে “নোংরা” এবং “জঘন্য” বলে উল্লেখ করেন।[১৯]

 

মৃত্যুঃ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ১০০ বছর বয়সে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে আসগর আলী হাসপাতালের মৃত্যুবরণ করেন [২০]

 

গ্রন্থাবলী- উর্দু

ফয়জুল জারী (বুখারীর ব্যাখ্যা)
আল-বায়ানুল ফাসিল বাইয়ানুল হক্ব ওয়াল বাতিল
ইসলাম ও ছিয়াছাত
ইজহারে হাকিকাত বাংলা,

 

হক ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্ব
ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা
ইসলাম ও রাজনীতি
সত্যের দিকে করুন আহবান
সুন্নাত ও বিদ’আতের সঠিক পরিচয়।
স্বাগতম আপনাকেঃ- যে কোনো বিষয় ভিত্তিক পোস্ট পেতে Md Mizanur Rahman(কবি ডা.মিজানুর মাওলা)র fb.ও Youtube এবং Goggles ঘুরে দেখার আমন্ত্রণে-
প্রচারে ও প্রকাশে তথ্য’সংগ্রহ রচনায়; প্রশিক্ষিত আত্মকর্মি ও খোলা চিঠি লেখক-কলামিষ্ট, জেনারেল সার্ভেয়ার, আলোচক, সাহিত্যিক, কবি এমডি মিজানুর মাওলা (অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সাংবাদিক)।
লেখকের ঠিকানাঃ ঢাকাস্থ বরিশাল হিজলা উপজেলা।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30