২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বরিশাল শোবাচিম বার্ন ইউনিটে চিকিৎষক সংকেটে ৫ মাস যাবত বন্দ

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
বরিশাল শোবাচিম বার্ন ইউনিটে চিকিৎষক সংকেটে ৫ মাস যাবত বন্দ

 

মোঃ সিরাজুল হক রাজু,স্টাফ রিপোর্টারঃ-

 

 

চিকিৎসক সংকটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের কার্যক্রম পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে বার্ন ওয়ার্ডে গত কয়েকমাস ধরে কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া না হলেও পুড়ে আসা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে সার্জারি ওয়ার্ডে।আর যেসব রোগীদের অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাদের উন্নত চিকিৎসার নামে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঢাকাতে।

 

 

 

 

এ অবস্থান থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রোগী ও তাদের স্বজনরা।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ মেডিক্যালের নিচতলার পূর্বদিকে আটটি বেড নিয়ে বার্ন ইউনিটের পথচলা শুরু হয়। নারী ও পুরুষ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে সেখানে আট চিকিৎসক, ১৬ নার্স ও ব্রাদারের পদ রাখা হয়। এরপর ওই ওয়ার্ডটিকে ১০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও রোগীদের চাপ সামাল দিতে ৩০ থেকে ৩২টি বেড সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ।এদিকে পদ যাই রাখা হোক শুরু থেকেই ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ আজাদ সজল। এরপর সেখানে সহযোগী অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেনকেও দেওয়া হয়। তবে গেল মার্চ মাস থেকে চিকিৎসাজনিত ছুটিতে চলে যান সহযোগী অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেন।

 

 

 

তিনি এখনও ছুটিতে রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।অপরদিকে গত ২৬ এপ্রিল সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ আজাদ সজলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার পর ওয়ার্ডটি চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়ে। তারপর মে মাসের শেষ পর্যন্ত অন্য ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সহায়তায় অভিজ্ঞ নার্সদের মাধ্যমে রোগীদের সেবা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান ছিল। কিন্তু বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ছাড়া এভাবে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠলে জুন মাসের শুরুর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ডটিতে রোগী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেসঙ্গে পুড়ে আসা রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল শেবাচিম হাসপাতলের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সহায়তায়ই আগুনে ও এসিডে পুড়ে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

 

 

 

 

সেক্ষত্রে গুরুতরদের পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়।এ বিষয়ে ইনডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দিতে চাই। আশা করি, দ্রুত প্রফেসরসহ মেডিক্যাল অফিসার যারা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির ওপরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত তাদ।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031