মোঃ জাহান জেব কুদরতী,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-
সুন্দরবন ঘেসা ও বন্দর উপজেলা মোংলা।এই মোংলারই ঐতিহ্যবাহী মিঠাখালী ইউনিয়ন,যার আয়তন ৩৪.৪৪ বর্গকিলোমিটার,মোট জনসংখ্যা ৫৫.৫০৮ জন।মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৭ হাজার ২ শত ০৩ জন। ১৯৭৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে এ পর্যন্ত মোট ০৯ জন।যার মধ্যে বিএনপির চেয়ারম্যান ছিলো ০৬ জন এবং আওয়ামীলীগের পর্যায়ক্রমে ০২ জন মোট ৪ বার দাইত্বভার গ্রহণ করে। ১৯৭৩ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ইউনিয়ন কার্যক্রম শুরু হলে চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রামপাল-মোংলার তৎকালীন সমাজ সংস্কারক জনাব আলহাজ্ব আবুবকার ছিদ্দিক।পরবর্তীতে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জনাব মোল্যা আঃ রশিদ।১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জনাব আলহাজ্ব মাহমুদ হাছান(ছোটমনি)। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত জনাব মোল্যা আঃ জলিল। ১৯৯৭ থেকে দুই বার ২০০৩ সাল পর্যন্ত জনাব গাজী আজাহার আলী জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোল্যা মোঃ শাহ জাহান।২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পুনরায় জনাব গাজী আজাহার আলী নির্বাচিত হন।সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৭ ই মে ব্যাপক সংখ্যা গরীষ্টতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংকল্পে এবং তৃনমূলের সর্বসাধারনকে আরো সু-সংগঠিত ও বেগবান করতে ভিশন’২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিচক্ষণতার সাথে নিরালস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বর্তমানকার এই ইউ.পি চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব মোঃ ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার।উনার পিতার নাম জনাব মোঃ আস্রাফ আলী হাওলাদার। ০৭ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সেজো।১৯৮৩ সালে ঠোটারডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে মাধ্যমিক শেষ করেন মোংলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্টপলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।পরবর্তীতে মোংলা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ১৯৯৮ সালে খুলনা বজ্রলাল বিশ্ববিদ্যালয়(BL) কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী শেষ করেন।জনাব মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার ১৯৮৮ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন।তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসন আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হন বার বার এই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার। বিরোধীদের শত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে দলের হাল ধরে রাখতে এক তিল পরিমান পিচু হটেননি তিনি।বহু চরাই-উৎরাই পেরিয়ে রামপাল-মোংলার অবিভাবক তৎকালীন রামপাল-মোংলার সংসদীয় আসনের সদস্য জনাব আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক মহোদয়ের হাত ধরে পুর্নাঙ্গ রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি র দায়ীত্বভার গ্রহণ করেন এই লৌহমানব ক্ষ্যাত জনাব মোঃ ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার। মোংলা উপজেলা যুবলীগ সংগঠনকে সু-সংগঠিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বৈপ্লবীক এ সৎসাহসী মুজীব আদর্শবাদী নেতা।একের পর এক নিজেকে নানামুখী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রেখে সুনাম অর্জন করে চলেছেন মোংলার ঐতিহ্যবাহী মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য এই চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব মোঃ ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার।তিনি শুধু একজন চেয়ারম্যান নয়,নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সাধারণ মানুষের সেবক হিসেবে।তিনি তার কর্মদক্ষতা,সততা,মিষ্টভাষী ও বিনয়ী মনোভাবের জন্য মোংলার সাধারণ মানুষের কাছে সুনাম কুঁড়িয়ে গেঁথে আছেন হৃদয়ের মনি কোঠায়।সদাআলাপী,হাস্যজ্জ্বল টিপ-টপ, সাদা-মাটা,রুচিশীল ও নিরহংকার হওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের মনের কথা বা অভিযোগ নিয়ে তার কাছে যেতে,বলতে ও সমাধান করতে পারছেন।তাঁর বিচার -আচার ন্যায় এবং পক্ষপাতহীন। রাত-দিন সর্বদা তিনি মোবাইল খোলা রাখেন,যাতে করে সাধারণ মানুষ সর্বদা তার সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ীত্বভার গ্রহণের পর থেকে অত্র ইউনিয়নকে জুয়া,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি এবং সফলতাও পেয়েছেন।বিভিন্ন হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা থেকে সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছেন গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে।
২০২০ সালের ১০ আগষ্ট প্রর্যন্ত গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে ৫০৮ টি মিমাংসা করেন তিনি এবং বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১১ টি মামলা। কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে তার লক্ষ্য সর্বদা প্রখর সচেষ্ট।তিনি ইউনিয়বাসীদের ঘুষ মুক্ত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী দের সাহায্য সহযোগীতাও করে থাকেন এই মানবতা বাদী নেতা।করোনার মহামারি থেকে ইউনিয়ন বাসী দের সুরক্ষার জন্য বাজারে বাজারে সচেতনতামূলক প্রচার,ব্যক্তিগত উদ্যোগে ধর্ম-বর্ণ মানুষের সাথে বৈষম্য না করে সুষম ভাবে খাদ্য বিতরণ,করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই প্রিয় মানুষটি।এ বিষয় ইউনিয়নের জনসাধারনেরা বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইউনিয়নের সাবেক ও চিরাচরিত গতানুগতিক চেহারা বদলে গেছে। তার উন্নয়নমূখী কর্মকাণ্ড আসলেই প্রশংসনীয় এবং রীতিমতো ঈর্ষণীয় বটে।
ইউনিয়নের জনসাধারণের উন্নয়নের স্বার্থে মিঠাখালী বাজারে সুপেয় পানির প্লান্ট স্থাপন, মিঠাখালী বাজার ড্রেন স্থাপন,৭ টি ছাট ঘর নির্মানও করেন তিনি।এ ছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ,মন্দির,মাদ্রাসা,এতিমখানায় দান ও অনুদানে বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি।মন্দিরে বা মসজিদে সরকারি সহায়তা আসলে সেটা সুসম বন্টন করেন তিনি।
ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট,ব্রিজ- কালভার্ট সহ বিভিন্ন স্থাপনা সহ বাউন্ডারী নির্মানে রেখেছেন অগ্রনী ভূমিকা,পেয়েছেন প্রশংসা।মিঠাখালী বাজার থেকে ঢেউয়াতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রোড ইট সলিং রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।তবে এলাকাবাসী আক্ষেপ করে বলেন-দীর্ঘ ৪ বছর ধরে রাস্তার চলমান কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব ইস্রাফিল হাওলাদার বলেন-
এই সড়কটি নিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাভুক্ত ঠিকাদার দের সাথে কথা বলেছি।তারা এই বর্ষা মৌসুম গেলেই পিচ্ সলিং এর কাজ শুরু করবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে স্বাধীনতার পূর্বে মিঠাখালী বাজারে নির্মীত ১৯৬৭ সালের ভবনে ১৯৭৩ সালে চলতো ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম। ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ার কারনে
গেল ২০১৫ সালে পরিতক্ত ভবন হিসাবে ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন।পরবর্তীতে বহুল প্রতিক্ষীত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্স নির্মানে ভূমি অধীকগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ ৪ বছরের বিরাজমান সমস্যার অবসান ঘটে।যা নিতাখালীতে ২০১৭ সালে নির্মান কাজ শুরু হয়ে কম্প্লিট হয়ে যেটা বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্স হিসাবে ইউনিয়নের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে এলাকায় ব্যাপক প্রশংসার দাবী রাখে।।