মোঃ কামাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোলে গৃহবন্দী থেকে বেরিয়ে এসে গরীবের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্ট সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী একজন তরুণ সমাজসেবক অসহায় মানুষের জন্য যার মন সব সময় কাঁদে সেই মানুষ হলো কামরুজ্জামান বাবলু।
মঙ্গলবার সকাল ৮.০০ টার সময় জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বাবলু তার নিজ অর্থায়নে নামাজ গ্রামের ১২০ গরীব দুঃখী পরিবার মানুষের মাঝে বিতরন করলেন খাদ্য সামগ্রী ।
এই তালিকায় ছিল প্রতিটি মানুষকে ৫ কেজি চাউল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, দেড় কেজি পেয়াজ, ২ লিটার তেল ও ৫০০ গ্রাম কাঁচা মরিজ ও এক কেজি লবন।
আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের স্বার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে সুখী করা নয় বরং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অন্যকে সুখী করা। কথায় আছে পৃথিবীতে দান করে কিংবা মানবসেবা করে কেউ কখনো গরীব হয়নি। বরং গরীব মানসিকতার মানুষরাই কখনো কারো জন্য কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীতে সেই মানুষগুলো সবচেয়ে সুখের কাছে যেতে পেরেছে যারা নিজেদেরকে আর্তমানবতার সেবায় বিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। নিজের জন্য নয় সমাজ ও মানুষের মাঝে সেবা করা সবচেয়ে বড় আনন্দ। কথাগুলো বললেন কামরুজ্জামান বাবলু
এই সমাজ সেবক কামরুজ্জামান বাবলু ,আরও বলেন, সমস্থ পৃথিবী জুড়ে যখন করুনা ভাইরাসে মানুষ গৃহবন্দী। এর ব্যাক্তয় ঘটেনি বাংলাদেশেও। আর এই সময় সবচেয়ে বেশী অসুবিধায় পড়েছে খেটে খাওয়া দিন মজুর। এরা করোনা ভাইরাসের কারনে ঘর থেকে বের হতে না পেরে তাদের মুজুরী কাজে লাগাতে না পেরে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে। এমনই ক্ষুধার্থ মানুষকে দেখে বাবলুর মন কেঁদে উঠে।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের জিন্নাহ বেগম বলেন, আমি খুব অসহায় বাড়ি বাড়ি খেটে খাই। এখন কি যেন এক রোগ আইছে কেউ কাজে নেয় না। না খেয়ে দিন যায় হাসি মুখে জিন্নাহ বলল বাবলুকে আল্লায় বাঁচায় রাখুক। আমাকে যে চাল ডাল দিয়েছে তাতে আমার অনেক দিন চলে যাবে।
কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, আমি অনেক কষ্টে দুঃখে বড় হয়েছি। অভাবের সাথে সংগ্রাম করেছি। আজ আর আমার অভাব নেই। আল্লায় আমাকে যা দিয়েছে আমার চাওয়ার চেয়ে অধিক দিয়েছে। আমার গ্রামের মানুষ না খেয়ে আছে এই সংবাদে আমার হৃদয় কেঁদে উঠে। তখন আমি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের অনুমতি সাপেক্ষে আমার যতটুকু তওফিক আছে ততটুুক তাদের মাঝে বিতরন করেছি। আর এরপর ও করোনার দুর্যোগ যদি না কাটে আমি আবারও আমার গ্রামের মানুষের প্রতি সাহয্যর হাত বাড়িয়ে দিব। আমার শেষ স্বম্বল থাকতে একটি লোককে ও না খেয়ে মরতে দিব না।
যেয়ে দেখা যায় প্রায় অর্ধশত লোক চাউল, ডাউল, পিয়াজ, মরিজ, তেল প্যাকেট করছে। আর বাড়িতে সারিবদ্ধ ভাবে লোক এসেছে স্লিপ হাতে ওই সামগ্রী নিতে। এরই মধ্যে বাবলু ঘর থেকে বের হয়ে বলল সরকার এত লোক এক জায়গায় হতে নিশেধ করেছে। আপনারা বাড়ি যান আমি বাড়ি বাড়ি এখনই আপনাদের ত্রান সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। এরপর কয়েকটি ভ্যান যোগে ওই পন্য সামগ্রী কামরুজ্জামান বাবলু তার লোক দিয়ে পৌছে
এ সময় উপস্তিত ছিলেন আলহাজ রমজান আলী, কামরুজ্জামান বাবলু, রাজু, শিমুল, তোহিদ, ইমন, সাহিদ, মোহন, ও নামাজ গ্রামের গন্য মান্য ব্যাক্তি, সহ আরো অনেকে।