মনির সরকার. বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা শুল্ক স্টেশন ভূমি জটিলতার কারনে স্থল বন্দর হিসেবে রূপ নিতে পারছেনা। জমি অধিগ্রহনসহ নানা জটিলতার কারনে স্থাপন করা যাচ্ছেনা স্থল বন্দরের অবকাঠামো।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন ও বন্দর র্কতৃপক্ষের সমন্বয়ে স্থল বন্দরের জন্য ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণরে জন্য ভূমি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। জরিপ কাজ শেষ হতে না হতেই এলাকার কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক স্থলবন্দরের আশ পাশের জমি ও অধিগ্রহনের আওতাধীন সমুদয় জমি কম দামে আগে ভাগে কিনে ফেলেন। এখন বেশী দাম দাবী করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। যার কারনে বাল্লা বন্দর এখনও আলোর মূখ দেখেনি।
১৯৫১ সালে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তর্বতী বাল্লা নামক স্থানে ৪ দশমকি ৩৭ একর জায়গা নিয়ে বাল্লা চেকপোষ্ট চালু করা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে পুনরায় তা চালু করা হয়। সেই শুল্ক বন্দরটি দিয়ে মাঝে মধ্যে সিমেন্ট রপ্তানী হয়ে থাকে। কিছু কিছু পাসর্পোটধারী লোকজন ত্রিপুরার সাথে যাতায়াত করেন। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলছে খোয়াই নদী। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে শ্রমিকরা মাথা ও কাঁধে করে পণ্য আনা-নেয়া করে থাকেন। ফলে এক দিকে ঝুঁকি অন্যদিকে আমদানি ও রপ্তনীকারকদের অর্থ ব্যয় হচ্ছে বেশী। এদিকে ২০১২ সালরে ১১ জুন দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রতিনিধি দল কেদারাকোট এলাকাটি পরর্দিশন করেন। এরপর আরো কয়েক দফা পরিদর্শন করেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরির্দশন শেষে উভয়েই শুল্ক স্টেশনের অদুরে যেখানে খোয়াই নদী নেই সেই কেদারাকোটে স্থলবন্দর করার ব্যাপারে উভয়পক্ষই একমত হয। ২০১৭ সালে ৮ জুলাই স্থলবন্দর র্কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী হবিগঞ্জে এক মতবনিমিয় সভায় জানান, ওই বছরে একনেক সভায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে। অবকাঠামো তৈরীর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। হবিগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক পরিবহন বিমান ও পর্যটন প্রতি মন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, অচিরেই ভূমি জটিলতা কাটিয়ে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজ শুরু করা হবে।