রাকিবুল হাসান গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় এমন জলাবদ্ধতার সমস্যা সারা বছর ধরে থাকলেও এর সমাধান যেন নেই কারো কাছেই।স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, নানা কারনে মাওনা চৌরাস্তাকে স্থানীয়রা প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেন। বিশেষ করে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য। এখানে রয়েছে কয়েকহাজার ক্ষুদ্র মাঝারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে ব্যাংক বীমা রয়েছে অর্ধশতাধিক, রয়েছে হাসপাতালও। প্রতিদিন হাজারো মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকে এই এলাকা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় পানি নিস্কাসনের জন্য এখনো গড়ে উঠেনি কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে বাধ্য হয়েই আশপাশের বাসা বাড়ী ও খাবার হোটেলের ব্যবহৃত পানি প্রতিদিনই ছেড়ে দেয়া হয় মহাসড়কের উপর। এসব পানির মধ্যে অনেকের বাসাবাড়ীর সেফটি ট্যাংকীর ময়লা (মানববর্জ্য) মহাসড়কেও চলে আসে।আর এতেই তৈরী হয় জলাবদ্ধতা।মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। সড়কের সংযোগস্থলে বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরাম জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য ও এসব পানি দূষিত হয়ে থাকে তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে।গাজীপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না, যেহেতু জলাবদ্ধতাটি বাসা-বাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈন্দদিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সকলকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে পানি সরিয়ে নিতে নতুন একটি ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি নতুন ড্রেনটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব হবে।