২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

করোনাভাইরাস ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
করোনাভাইরাস ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা

মোঃ সামিউল্লাহ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধিঃ

করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ভাইরাস যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ক্যাবিনেট বৈঠকের পর বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর ২০-২৫ জন বসে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে যেভাবেই হোক ‘করোনা’ আমাদের দেশে ঢুকতে দেয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত উহান থেকে বাইরের দেশে যাওয়ার বিষয়ে চায়না অলিরেডি ক্লোজ করে দিয়েছে। তার পরও ওখান থেকে কেউ আসলে তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে যে ৩১২ জনকে দেশে আনা হয়েছে তাদের সবাইকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তারা অনেকেই বুঝতে পারেনি তাদের সেখানে রাখা হবে, তারা ভেবেছিল তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছেড়ে দেয়া হবে। এখানে যারা এসেছেন বেশিরভাগই ছাত্র, সেখানে রাখায় তারা জানতে চেয়েছিল কেন তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তাদের যখন বুঝিয়ে বলা হয়েছে এটা খুব রিস্কি, ঝুঁকি রয়েছে, পরে তারা শান্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের বৈঠকে প্রফেসর আব্দুল্লাহ ছিলেন। তিনি যেটা বললেন এর আগে যে ভাইরাসগুলো ছিল তা এতো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না এবং এতো কুইকলি স্প্রেড (বিস্তার) ছিল না। কিন্তু এটা কুইকলি স্প্রেড হয়, তবে ডেথ রেট (মৃত্যু সংখ্যা) কমপারেটিভলি কম অন্যান্য ভয়ানক ভাইরাসের তুলনায়। যাদের আনা হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জনের জ্বর ছিল, তাদের সিএমএইচ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাদের রক্তে কোনো ভাইরাস আসেনি। তার পরও তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন। তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে ভিসা দিতে চাচ্ছে না। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- চাইনিজ কোনো চার্টার্ড প্লেন আনা গেলে সেটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্যান্য জায়গা থেকে যারা এসেছে তাদের ডব্লিউএইচও’র ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে চেকআপ করা হচ্ছে। তবে ভায়া যেগুলো আসে সেগুলো তো একটা সেফটি হয়ে আসে। হংকংয়ে খুবই স্ট্রিকট, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুরে একটা ন্যাচারাল ন্যাচারাল অ্যাফেক্ট হয়, যে একবার হয়ে গেলে হয়েই যায়। তারপরও আমাদের এখানে ডাবল চেকিং হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছে, তাদের আর আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।
সচিব জানান, উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, তারা খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।
বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হকও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর এম আবদুল্লাহও ছিলেন বৈঠকে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30