১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভোলায়ও যুগের পরিবর্তনের বেতগাছ প্রায় বিলুপ্তের পথে

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
ভোলায়ও যুগের পরিবর্তনের বেতগাছ প্রায় বিলুপ্তের পথে

টিপু সুলতান ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় জেলায় ও যুগের পরিবর্তনের সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে বেতগাছ।লতাপাতা আর সবুজ -শ্যামল ভরপুর ছিল। গ্রাম- বাংলার পথ,ঘাট প্রান্তর ও লোকালয় কিন্তুু সেই সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে।আগে গ্রাম- বাংলায় অনেক দেশি গাছগাছালি পাওয়া যেত কিন্তুু এখন অনেক গাছগাছালি বিলুপ্তির পথে।এর মধ্যে অন্যতম বেতগাছ।এখন আর আগের মত গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায়না।তবে এ বেতগাছ বহু নামে পরিচিত, যেমন বেতগাছ,বেতুন,বেতগুটি ও বেতুইন নামে পরিচিত। বসাধারণ ভাবে বেতগাছ নামে চেনে, এই বেতগাছ বাংলাদেশ ভূটান, কম্বোডিয়া, লাওস,মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামা, ভারত, জাভা অঞ্চলের উদ্ভিদ বেতগাছ। ক্রান্তীয়-উপক্রান্তীয় ভেজা ও জলী নিচু ভূমিতে ভাল জন্নে।গ্রাম-বাংলার নৈসর্গিক শোভা বিস্তারে এ গাছের জুড়ি নেই। এখন আর আগের মত বেতগাছ দেখা মেলে না। গ্রাম বাংলার বাড়ির আনাচে কানাচে রাস্তার পাশে বা পতিত জমিতে ও লতা পাতা জঙ্গলের মধ্যে ছিল চির সবুজ এই উদ্ভিদটি। বেতগাছ ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়ে বেশি লম্বা হয়ে থাকে। বেতগাছে ফুল হয় পরে ফল হয়। ফলটি পাকলে দেখতে ঘিয়ে রং মত, খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল।দুই – থেকে তিন দশক আগেও আমাদের দেশে গ্রাম বাংলার বন জঙ্গলে ধারে নানা ধরনের বেতগাছ দেখা যেত। আর এখন এ গাছটি এখন দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান বাজার হাটে বা মেলায় শুকনা বেত দেখা যায় না। শুকনা বেত দিয়ে চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ধামা, পালি, ডালা, দোলনা, র‌্যাক, সোফা, ফুলদানীসহ বহু রকমের আসবাবপত্র তৈরি হতো। বর্তমান গ্রাম অঞ্চলে এখন আর এ গাছ দেখা যায় না। বিভিন্ন বেতের আসবাবপত্র ঘর সাজানো, দৃষ্টিনন্দন টেকসই ও মূল্যবান যে কারণে বেতের কদর এখনো সকলের কাছে সমাদৃত। ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।, বেতের জায়গা দখল করে নিয়ছে লোহার ফ্রেম করে প্লাস্টিকের বেত তৈরি করে আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে এমনকি লোহা স্টিল, কাঠ পার্টেক্স বোর্ড আরো অনেক রকমের আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে। এখন একপ্রকার এই ঐতিহ্যবাহী বেতগাছ আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে বলা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30